টিকে থাকার জন্য গণবিরোধী আইন করেছে সরকার : মির্জা ফখরুল

0

ঢাকা অফিস: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এই সরকার অবৈধ সরকার। তাই, এ সরকার টিকে থাকার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ গণবিরোধী আইন করেছে। আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই অবৈধ সরকারকে সরাতে হবে।’ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি, লেখক মুশতাক আহমেদের কারাগারে মৃত্যু এবং নোয়াখালীতে সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল আয়োজিত বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।রাষ্ট্রীয় মদদে কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘লেখক মুশতাক আহমেদকে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করে কারাগারে আটক রেখে হত্যা করা হয়েছে। আমরা প্রথমেই বলেছি, রাষ্ট্রীয় মদদে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে। আমরা সেদিনই বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছি।’মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে প্রায় ৭০০ মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুধু সরকারের সমালোচনা করে কার্টুন বা লেখার কারণে সাত বছরের মেয়ে থেকে শুরু করে গৃহবধূকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হতে হয়েছে আমাদের।’ফখরুল আরো বলেন, ‘এই সমাবেশ থেকে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের মুক্তি দাবি করছি। আমাদের যে সব যুবদল, ছাত্রদলের রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে বিনা কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মুক্তি দাবি করছি। গত ২৮ তারিখে এখানে সমাবেশে পুলিশি হামলা চালিয়ে আমাদের যেসব নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে, তাঁদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করছি।’মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এই সরকারকে সরাতে হবে এ কারণে যে, এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, এই সরকারের কোনো বৈধতা নেই। আমরা বিশ্বাস করি, জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমেই এ সরকারের পতন হবে।বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এই সরকার সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আপনারা দেখেছেন খুলনা রাজশাহীতে বাস বন্ধ করে দিয়ে সমাবেশ বন্ধ করার চেষ্টা করেছে। বরিশালেও একই কায়দায় তারা বন্ধ করেছে। কিন্তু তারা বন্ধ করতে পারেনি জনগণের উত্তাল তরঙ্গ। আমাদের সমাবেশ সফল করেছে জনগণ।মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে আটক করা হয়েছে। খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন, তারেক রহমানসহ যেসব নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে সাজা দেওয়া হয়েছে, ওই সাজা প্রত্যাহার করতে হবে। ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দেওয়া গায়েবি মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং অবিলম্বে এই সরকারকে পদত্যাগ করে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচন দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আমাদের শক্ত হয়ে দাঁড়াতে হবে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়াতে হবে। আসুন সব রাজনৈতিক দল—আমরা এক সঙ্গে প্রতিবাদ করে দাঁড়াই। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শেষ করতে চাই। এই সরকারকে আবারও বলছি, অবিলম্বে পদত্যাগ করে নির্বাচন দিন।যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুল আলম নীরবের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নয়ন, কেন্দ্রীয় নেতা গিয়াস উদ্দিন আল মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Share.