ডেস্ক রিপোর্ট: বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে দ্রুতগতির ফাইভজি সেবা চালু করল রাশিয়া। রাশিয়ান টেলিকম অপারেটর এমটিএস জানিয়েছে, তারা রাজধানীর মস্কো ও এর আশপাশের ১৪টি এলাকায় ফাইভজি নেটওয়ার্ক স্থাপন করেছে। এলাকাগুলোর মধ্যে মস্কোর জনপ্রিয় গোর্কি পার্ক, মস্কোর স্টেট ইউনিভার্সিটি এলাকা ও মস্কো সিটি ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস সেন্টার অন্যতম।এ বিষয়ে এমটিএসের সভাপতি আলেক্সি কর্নিয়া জানান, দফায় দফায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর পর প্রথমবারের মতো রাশিয়ায় বড় পরিসরে ফাইভজি সেবা চালু করেছি আমরা, যা আমাদের হাজার হাজার গ্রাহককে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করবে।এমটিএস জানিয়েছে, নতুন প্রজন্মের এই নেটওয়ার্কে সেকেন্ডে এক দশমিক পাঁচ গিগাবাইট গতিতে ডাটা ডাউনলোড করতে পারবে ব্যবহারকারীরা। ফলে ১০ গিগাবাইটের কোনো সিনেমা বা ফাইল ডাউনলোড করা যাবে এক মিনিটেরও কম সময়ে। তবে চাইলেই গ্রাহকরা ফাইভজি সেবা পাবেন না।এমটিএস জানিয়েছে, ফাইভজি কাভারেজ আছে এমন এলাকা বা কাছাকাছি এলাকায় যখন যেসব গ্রাহক অবস্থান করবে, তখন তাদের খুদেবার্তা পাঠিয়ে পঞ্চম প্রজন্মের টেলিকম সেবা ব্যবহারের আমন্ত্রণ জানানো হবে। দ্রুত মোবাইল ইন্টারনেট ছাড়াও, ভবিষ্যতে ফাইভজি নেটওয়ার্ক নগরীর পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সুরক্ষা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে আশা করছে টেলিকম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটি।শিগগিরই ফাইভজি নেটওয়ার্কের আওতায় আরো নতুন নতুন এলাকাকে সংযুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে এমটিএস কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া এই গ্রীষ্মেই রাশিয়ার বন্দরনগরী সেন্ট পিটার্সবাগের অন্তত ১০টি এলাকায় ফাইভজি সেবা চালুর ঘোষণাও দিয়েছে টেলিকম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটি।ফাইভজি চালু ও সেবা প্রদানে বিশ্বে প্রথম সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিতে চায় রাশিয়া। ২০২৪ সালের মধ্যে অন্তত ১০টি বড় শহরে পঞ্চম প্রজন্মের টেলিকম সেবা চালু করতে চায় দেশটি। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে এই সময়ে পাঁচ মিলিয়ন মানুষ ফাইভজি সেবার আওতায় আসবে। ২০৩০ সালের মধ্যে রাশিয়ার জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশেরও বেশি ফাইভজি সেবার আওতায় আসবে। দেশটিতে ফাইভজি গ্রাহক সংখ্যা পাঁচ কোটিতে দাঁড়াবে বলে আশা করছে রুশ কর্তৃপক্ষ।
বিশ্বে প্রথম দ্রুতগতির ফাইভজি নেটওয়ার্ক চালু
0
Share.