ঢাকা অফিস: আবারো আলোচনায় পেয়াজ। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। বাজারে এতদিন মুড়িকাটা পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। দেশি এই পেঁয়াজের সরবরাহ শেষ। এখন বাজারে এসেছে হালি পেঁয়াজ। গত কয়েকদিনেই এই পেঁয়াজের দাম বেড়ে এখন ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় পৌঁছেছে।আজ শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মুগদা, শান্তিনগর, রামপুরা, মিরপুর, শনির আখড়া ও যাত্রাবাড়ীতে গিয়ে দেখা গেছে, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। আবার কোথাও আকারে ছোট পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে।
যাত্রাবাড়ীর পেঁয়াজ বিক্রেতা গোলাম সামদানী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, শীত মৌসুমের মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ শেষ। এই কারণে বাজারে পেঁয়াজ কম। পেঁয়াজের সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বাড়ছে।কারওয়ান বাজারের বিক্রেতা হাবিব বলেন, গত সপ্তাহে পেঁয়াজের কেজি ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকার কাছাকাছি হয়েছে। তিনি বলেন, এ সপ্তাহে নতুন করে যারা পেঁয়াজ পাইকারদের থেকে কিনছেন, তারা বেশি দামে বিক্রি করছেন।
রামপুরার বিক্রেতা কাওসার বলেন, ‘মুড়িকাটা পেঁয়াজ বেশি দিন রাখা যায় না। এ কারণে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কম। তাই দাম কিছুটা বাড়ছে। আবার এ মাস পরে পেঁয়াজের দাম কমে যাবে।’এদিকে কারওয়ান বাজারে দেখা গেছে, আমদানি করা পেঁয়াজের দামও বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে এই পেঁয়াজের দামও ১০ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহে আমদানি করা পেঁয়াজ ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হতো। সেই পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে।
এদিকে প্রতিনিয়ত দাম বেড়েই চলছে ব্রয়লার আর পাকিস্তানি সোনালি মুরগির। এ ছাড়া আগে থেকেই চড়ে থাকা চাল আর তেলের বাজারেও স্বস্তি নেই সাধারণ ভোক্তাদের।ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। এ ছাড়া ২৫০ টাকার পাকিস্তানি সোনালি মুরগির কেজি এখন ৩৬০ টাকায় পৌঁছেছে। খুব শিগগিরই এই দাম কমার লক্ষণ দেখছেন না খুচরা বিক্রেতারা।
নতুন করে দাম না বাড়লেও, বাজারে সব ধরনের চালের দামই চড়া। পর্যাপ্ত আমদানি না হওয়ায় দাম কমেনি বলে মনে করছেন বিক্রেতারা।এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে দাম বেড়েছে তেলের, তাই বাড়তি দামেই বাজারে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের ভোজ্য তেল। নতুন করে কেজিতে তিন থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬৮ টাকায়।