ঢাকা অফিস: নির্বাচন নিয়ে বিএনপি যে প্রশ্ন তোলে, তার সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আজকে বিএনপি নেতারা নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন, নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাদের আমি জিয়াউর রহমানের হ্যাঁ-না ভোট ও ১৯৮১ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের কথা মনে করিয়ে দিতে চাই। কেমন নির্বাচন তারা করেছিল। সেখানে জনগণ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারেনি। তাদের কথা-ই ছিল ১০টা হুন্ডা ২০টা গুন্ডা নির্বাচন ঠান্ডা। তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করেছিল জেনারেল এরশাদও।’
শনিবার (৩০ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান যেমন স্বাধীনতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী করেছিল, প্রধানমন্ত্রী করেছিল। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসেও সেই একই কাণ্ড ঘটালো। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া একটা নির্বাচন করেছিল। যে নির্বাচনে বাংলাদেশের কোনও দল অংশ নেয়নি। সেটা একটা সাজানো নির্বাচন ছিল। সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের সহযোগিতায় একটি নির্বাচন করলো। যেখানে বোধ হয় দুই শতাংশ ভোটও পড়েনি। জনগণের ভোট চুরি করে নির্বাচন করে নিজেকে তৃতীয় বারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা দিলো।’
তিনি বলেন, ‘ভোট চুরি করে খুনি রশিদকে নির্বাচিত করলো। কর্নেল রশিদ ও মেজর হুদাকে নির্বাচিত করে পার্লামেন্টে বসালো। খুনি রশিদকে খালেদা জিয়া পার্লামেন্টে বিরোধী দলীয় নেতার সিটে বসিয়ে দিলো। কিন্তু খালেদা জিয়া সেই ক্ষমতায় বেশি দিন থাকতে পারেনি। ভোটচুরির কারণে মাত্র দেড় মাস ক্ষমতায় ছিল। ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হয়ে, ৩০ মার্চ তাকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল।’
জিয়াউর রহমানের কথা-ই ছিল ১০টা হুন্ডা ২০টা গুন্ডা নির্বাচন ঠান্ডা: শেখ হাসিনা
0
Share.