করোনায় চিকিৎসাসেবা ব্যাহত, ২ লাখ ৩০ হাজার শিশুর মৃত্যু

0

ডেস্ক রিপোর্ট: করোনায় স্বাভাবিক চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হওয়ায় দক্ষিণ এশিয়ায় প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার শিশু মারা গেছে। জাতিসংঘের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও নেপালসহ দক্ষিণ এশিয়ায় শিশুর পাশাপাশি মাতৃমৃত্যু নিয়ে এ সংখ্যা প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার।করোনা মহামারির দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে উঠছে। সমাজের প্রতিটি স্তরের পাশাপাশি করোনার সরাসরি প্রভাব পড়েছে দেশগুলোর স্বাস্থ্য খাতে। করোনার মৃত্যুর বাইরেও শুধু স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে পড়ার কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় ২ লাখ ২৮ হাজার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় কোভিড নাইন্টিনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব ও তা মোকাবিলা শীর্ষক জাতিসংঘ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো বিশেষ করে আফগানিস্তান, নেপাল, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কায় শিশুমৃত্যুর পাশাপাশি করোনার কারণে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হওয়ায় মাতৃমৃত্যুর হারও বেড়েছে। করোনার প্রভাবে মাতৃমৃত্যুসহ মোট ২ লাখ ৩৯ হাজার শিশুর মৃত্যু হয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশগুলোতে স্বাস্থ্য খাত ভেঙে পড়ায় শিশু ও নারীদের পাশাপাশি কিশোররা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্বাস্থ্য খাত, সামাজিক খাত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রভাব ও সরকারের ব্যবস্থাপনার ওপর আলোকপাত করা হয়েছে। স্বাস্থ্যখাতে প্রভাব পড়ায় আফগানিস্তান, নেপাল, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এই ছয়টি দেশের ২ লাখ ২৮ হাজার শিশুর মৃত্যু হয়েছে যাদের বয়স ৬ বছরের নিচে। বাংলাদেশ ও নেপালে পুষ্টিহীনতার হার ৮০ শতাংশের বেশি। ভারতে শিশু মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ৪ শতাংশে। ১৩ শতাংশ শিশু মৃত্যুর হার নিয়ে ভারতের পরই বাংলাদেশের অবস্থান।করোনার কারণে ৩ লাখ অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণের কথা উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। যার মধ্যে ৪ লাখ তরুণী। সামনের দিনগুলোতে করোনার প্রভাব আরো স্পষ্ট হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামনের কয়েক মাসের প্রতিবেদনে দেশটিতে পুষ্টিহীনতার হার আরো অনেক বেশি বাড়তে পারে।

Share.