স্বাস্থ্য ডেস্ক: হাঁটু বা গাঁটের ব্যথা কমবেশি সবারই আছে। ব্যথা থাকলে চলাফেরার স্বাভাবিক ছন্দ, গতি কমে যায়। এই সমস্যা মূলত অনিয়মিত ডায়েট, ক্যালসিয়ামের অভাব আর শরীরচর্চার ঘাটতির ফলে হয়ে থাকে বলে চিকিৎসকরা বলে থাকে। বর্তমান যুগে যেকোনো বয়সীরা এই সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন।
আসুন তাহলে এবার জানি কীভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে গাঁটের ব্যথা উপশম করা যায়….
১। মেথি: যেকোনো জ্বালা-যন্ত্রণা কমাতে মেথি অত্যন্ত কার্যকরী। গাঁটের ব্যথায় কষ্ট পেলে নিয়মিত সামান্য উষ্ণ জলে মেথি ভিজিয়ে খেতে পারেন। সারা রাত পানিতে মেথি ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে তা খেলে উপকার পাওয়া যেতে পারে।
২। ঠান্ডা-গরম সেঁক: পানি গরম ‘হট ওয়াটার ব্যাগ’-এ করে ব্যথার জায়গায় ১০ মিনিট ধরে সেঁক দিন। জায়গাটা গর হলে সেখানে বরফ দিয়ে ঘষে ঘষে মালিশ করুন। এইভাবে মোটামুটি ৩০-৪০ মিনিট ঠান্ডা-গরম সেঁক দিন। নিয়মিত এভাবে ঠান্ডা-গরম সেঁক দিলে গাঁটের ব্যথার সমস্যা অনেকটাই কমে হয়ে যাবে।
৩। লবন জলের সেঁক: সৈন্ধব লবন যেকোনো ব্যথা-বেদনা উপশমে খুবই কার্যকরী। ছোট এক কাপ সৈন্ধব লবন জলের মধ্যে গুলে একটি মিশ্রণ তৈরি করে সেটা ফুটিয়ে ব্যথার জায়গায় ৩০-৪০ মিনিট ধরে সেঁক দিন। এভাবে নিয়মিত সেঁক দিলে গাঁটের ব্যথা দ্রুত উপকার পাওয়া যেতে পারে।
৪। হলুদ ও আদার মিশ্রণ: দুকাপ জলে হলুদ ও আদা ফুটিয়ে নিন। গরমে ফুটে যখন মোটামুটি আধ-কাপের মতো হয়ে যাবে তখন সেটিকে আঁচ থেকে নামিয়ে নিন। এ বার হলুদ-আদার ওই মিশ্রণে এক চামচ মধু মিশিয়ে দিনে দুবার খেলে পেইন কিলার ছাড়াই গাঁটের ব্যথার সমস্যা অনেকটাই কমে হয়ে যাবে।
৫। গাজর-লেবুর মিশ্রণ: দুটো মাঝারি মাপের গাজরের রস করে তাতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মেশান। তারপর সেটি খালি পেটে খেয়ে নিন। নিয়মিত এই মিশ্রণ খেলে গাঁটের ব্যথায় উপকার পাওয়া যেতে পারে।
৬। লঙ্কা গুঁড়ো ও নারকেল তেলের মিশ্রণ: চিকিত্সকদের মতে, গাঁটের ব্যথা কমাতে ক্যাপসাইসিন খুবই কার্যকরী। লাল লঙ্কাতে মিলবে এই ক্যাপসাইসিন। আধ-কাপ নারকেল তেলে দুচামচ লঙ্কা গুঁড়ো মিশিয়ে ব্যথার জায়গায় ২০ মিনিট ধরে মালিশ করুন। এরপর উষ্ণ জলে জায়গাটা পরিষ্কার করুন। দিনে ৩-৪ বার এভাবে মালিশ করলে গাঁটের ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে।