ডেস্ক রিপোর্ট: মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এখনও আলোচনা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। তিনি বলেন, যারা তেহরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তাদেরকে প্রতিরোধ করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। তবে ইরান আলোচনার দরজা বন্ধ করে দেয়নি। ২০১৫ সালের জুনে ভিয়েনায় নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ সদস্য দেশ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন (পি-ফাইভ) ও জার্মানি (ওয়ান) ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষর করে। ওবামা আমলে স্বাক্ষরিত এই চুক্তিকে ‘ক্ষয়িষ্ণু ও পচনশীল’ আখ্যা দিয়ে গত বছরের মে মাসে তা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর নভেম্বরে থেকে তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল শুরু করে ওয়াশিংটন। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে মারাত্মক সংকটের মুখে পড়েছে ইরানের অর্থনীতি। এরপর বিভিন্ন সময় আলোচনায় বসার আহ্বান জানানো হলেও তা প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান। বুধবার তেহরানের মিলাদ টাওয়ারে জাতীয় ইন্স্যুরেন্স ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি ভুল এবং নির্বতনমূলক নিষেধাজ্ঞা সবার আগে প্রত্যাহার করতে হবে এবং তারপর সংলাপের বিষয় নিয়ে কথা বলতে হবে। আমরা এতে কোনো সমস্যার কিছু দেখি না।” রুহানি বলেন, “সমঝোতার মধ্যদিয়ে ইরানের পরমাণু অধিকারকে মেনে নেওয়া হয়েছে অথচ কেউই বিশ্বাস করতেন না যে, আমরা আলোচনার মাধ্যমে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোর কাছ থেকে এই অধিকার নিশ্চিত করতে পারবো।” সমঝোতা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে যাওয়া প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, ইসরায়েল, সৌদি আরব এবং কিছু মার্কিনিরা ট্রাম্পকে একথা বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন যে, পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গেলে তিনিই হবেন মার্কিন ইতিহাসের প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি ইরানকে দুমড়ে-মুচড়ে দিতে সক্ষম হলেন।
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এখনও আলোচনা সম্ভব: রুহানি
0
Share.