ঢাকা অফিস: মাগুরায় তালের রস পান করে গত কয়েক দিনে ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টসহ নানা অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩০ জনেরও অধিক। গত কয়েক দিনে একই ইউনিয়নের প্রায় ৩০ জন সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিচ্ছে।মাগুরা সদর হাসপাতাল ভর্তি রোগীরা জানায়, ৪ দিন আগে (১৯ এপ্রিল) শ্রীপুর উপজেলার আমলসার হুমায়ুন ইসলাম শখের বসে বাড়ির পাশে তালের খোলা রস খায়। রস খেয়ে বাড়িতে ফিরতে না ফিরতেই তার পেটব্যথা শুরু হয় এবং পরের দিন সে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন। এরপর গত কয়েক দিনে একই ইউনিয়নের আমলসার, বিলনাথুর, কালীনগরসহ বিভিন্ন গ্রামে তালের রস খেয়ে ৩০-৩৫ জনের ডায়রিয়াসহ শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। নবুওত হোসেন, বাবু মোল্লা, মাসুদুর রহমানসহ ১২ জনকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফরিদপুর মেডিকেলসহ বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছে।সদর হাসপাতালে ভর্তি, ষাটোর্ধ্ব নবুওত হোসেন জানান, অনেকের দেখাদেখি সেও তালের রস পান করেন । এর কিছুক্ষণ পরই তার পেট ব্যথা শুরু হয় এবং পাতলা পায়খানা ও বমি হতে থাকে। শুক্রবার পর্যন্ত গত তিন দিন হাসপাতালে ভর্তি সে।স্থানীয় বাসিন্দা মিল্টন শেখ জানান, গত কয়েক দিনে তালের রস খেয়ে আমাদের এলাকার প্রায় ৩০-৩৫ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছে। কারোর পেটে ব্যথা কারোর শ্বাসকষ্ট কারোর বমিসহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিয়েছে।সদর হাসপাতালের সিনিয়র নার্স প্রতিমা বিশ্বাস জানান, শুধু পুরুষ ওয়ার্ডে এই তালের রস খেয়ে একই এলাকার ৮ জন ভর্তি হয়েছে। আমরা তাদের স্যালাইন ও অন্যান্য ওষুধসহ সব ধরনের চিকিৎসা দিচ্ছি। এদিকে গরমের কারণেই অসুস্থতা বাড়ছে। প্রচুর পানি পান করার পাশাপাশি কোনো কাঁচা রস না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আরিফুর রহমান বলেন, আমাদের এখানে যারা ভর্তি হয়েছে তাদের আমরা চিকিৎসা দিচ্ছি। সবাই ভালো আছেন, আস্তে আস্তে সেরে উঠছেন। তিনি বলেন, এই গরমে তালের কাঁচা রস খাওয়া যাবে না। তা ছাড়া খোলা এই রসে পাখিরা মুখ দেয়। এতে বিভিন্ন রোগজীবাণু ছড়াতে পারে। তা ছাড়া পানি ফুটিয়ে পান করতে হবে।
মাগুরায় তালের রস পান করে ৩০ জনের ডায়রিয়া
0
Share.