ডেস্ক রিপোর্ট: অক্টোবরে ৮২৩ কোটি টাকার নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। গত বছরের অক্টোবরে বিক্রির পরিমাণ ছিল পাঁচ গুণেরও বেশি; চার হাজার ৪১৭ কোটি টাকা। এই বছরের সেপ্টেম্বরে ৯৮৫ কোটি ৭১ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে হয়েছিল প্রায় চার গুণ বেশি; ৪ হাজার ৩৫৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। করের হার বৃদ্ধি এবং কড়াকড়ি আরোপ করায় এভাবে প্রতি মাসেই কমছে সবচেয়ে ‘নিরাপদ’ বিনিয়োগ হিসেবে পরিচিত এ খাতের বিনিয়োগ। ব্যাংকগুলোর আমানতের সুদের হার কম এবং পুঁজিবাজারে দীর্ঘ মন্দার কারণে গত কয়েক বছর ধরে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল সঞ্চয়পত্র বিক্রি। এতে সরকারের ঋণের বোঝা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাচ্ছিল। বিক্রির চাপ কমাতে ১ জুলাই থেকে মুনাফার উপর উৎসে করের হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়। একইসঙ্গে এক লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনতে টিআইএন (কর শনাক্তকরণ নম্বর) বাধ্যতামূলক করা হয়। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকলে কোনো সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে না মর্মে শর্ত আরোপ করা হয়। আর এ সব কারণে সঞ্চয়পত্র বিক্রি যেভাবে ‘লাফিয়ে লাফিয়ে’ বেড়েছিল; এখন ঠিক সেভাবেই ‘লাফিয়ে লাফিয়ে’ কমছে। জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য ঘেটে দেখা যায়, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) ৫ হাজার ৫১২ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। গত বছরের একই সময়ে বিক্রির পরিমাণ ছিল প্রায় তিন গুণেরও বেশি; ১৭ হাজার ৮২৯ কোটি টাকা। তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরে প্রতি মাসেই সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমছে। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে নিট বিক্রির পরিমাণ ছিল ২ হাজার ১৬০ কোটি টাকা। অগাস্টে তা নেমে আসে ১ হাজার ৪৯৯ কোটি টাকায়। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে বিক্রি হয়েছে যথাক্রমে ৯৮৬ কোটি ও ৮২৩ কোটি টাকা। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মোট ৮৬ হাজার ৭২০ কোটি ২৮ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছিল। সুদ-আসল বাবদ পরিশোধ করা হয়েছিল ৩৮ হাজার ৭৭৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এ হিসাবে নিট বিক্রির পরিমাণ ছিল ৪৭ হাজার ৯৪৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। তার আগে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৭৮ হাজার ৭৮৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছিল। নিট বিক্রির পরিমাণ ছিল ৪৬ হাজার ৫৩০ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
‘অক্টোবরে ৮২৩ কোটি টাকার নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি’
0
Share.