বাইডেনের সঙ্গে এরদোগানের প্রথম ফোনালাপে যে বিষয়ে কথা হল

0

ডেস্ক রিপোর্ট:   প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় অটোমানদের হাতে বিপুল সংখ্যক আর্মেনীয়র মৃত্যুর ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ নিয়ে শুক্রবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগানের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। ফোনালাপে বাইডেন শিগগিরই এ স্বীকৃতি দেওয়ার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন বলে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে রয়টার্স।প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে থেকেই বাইডেন আর্মেনীয় ‘গণহত্যা’র স্বীকৃতি নিয়ে সরব ছিলেন। ২০১৯ সালের অক্টোবরে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে ওই ‘গণহত্যা’কে স্বীকৃতি দিতে ওঠা একটি বিল ৪০৫-১১ ভোটে গৃহীত হলে সেসময় ডেমোক্র্যাট দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী বাইডেন তাকে স্বাগত জানান।যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার ৩ মাসেরও বেশি সময় পর বাইডেন শুক্রবার প্রথম টেলিফোনে এরদোগানের সঙ্গে কথা বলেছেন। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ তুর্কি প্রেসিডেন্টের অনাগ্রহের কারণেই দুই নেতার মধ্যে আলাপে এত দেরি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।শুক্রবার দুই নেতার ফোনালাপ নিয়ে দেওয়া হোয়াইট হাউস ও তুর্কি প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের কোনো বিবৃতিতেই আর্মেনীয় ‘গণহত্যার স্বীকৃতি’ প্রসঙ্গটি স্থান পায়নি বলে রয়টার্স জানিয়েছে।ওয়াশিংটনের এ আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি ন্যাটো মিত্র দুই দেশের সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটাবে বলেই আশঙ্কা করছেন পর্যবেক্ষকরা।প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তুর্কি অটোমানরা আনাতোলিয়ার পূর্ব অংশ থেকে সিরিয়ার মরুভূমি ও আশপাশের এলাকাগুলোতে বিপুল পরিমাণ আর্মেনীয়কে নির্বাসনে পাঠিয়েছিল, যার কারণে কয়েক লাখ লোক বিভিন্ন রোগে ভুগে ও অনাহারে মারা পড়েছিলেন বলে ইতিহাসবিদদের ধারণা।অটোমানদের ওই পদক্ষেপে কতজনের মৃত্যু হয়েছিল তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক আছে।আর্মেনীয়রা ওই হত্যাযজ্ঞে অন্তত ১৫ লাখ লোকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করলেও তুরস্কের অনুমান মৃতের সংখ্যা এর পাঁচভাগের একভাগ হতে পারে।

Share.