ডেস্ক রিপোর্ট:করোনার বিরুদ্ধে চতুর্থ কার্যকরী টিকা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা প্রয়োগে সবুজ সংকেত দিয়েছে ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি (ইএমএ)। আগামী সপ্তাহে টিকাটি অনুমোদনের আভাস দিয়েছে সংস্থাটি। তবে টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি বিষয়টি এখনো বিবেচনায় রয়েছে বলে জানান কর্মকর্তারা।ব্রিটিশ সুইডিশ ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রেজেনেকার টিকা গ্রহণকারীদের শরীরে রক্তজমাট বাঁধার মতো সমস্যা দেখা গিয়েছিল। ঠিক একই সমস্যায় গত ১৩ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার প্রয়োগ স্থগিত করে ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি ইএমএ। টিকা গ্রহণকারীদের শরীরে কেন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা চালান রাতদিন গবেষণা। অবশেষে ইএমএ জানাল যুক্তরাষ্ট্র ও বেলজিয়ামের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিন অন্যান্য টিকার মতোই নিরাপদ ও কার্যকরী। তবে টিকার কারণে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়টি অমূলক বলছেন জনসন অ্যান্ড জনসনের কর্মকর্তারা।এর আগে জনসন অ্যান্ড জনসনের উদ্ভাবিত টিকাটি যুক্তরাষ্ট্রে কমপক্ষে ৭ মিলিয়ন মানুষের দেহে প্রয়োগ করে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রাণালয়। তবে ইউরোপে ২৭ দেশের মধ্যে বেলজিয়াম ও ফ্রান্স টিকা গ্রহণে সম্মতি থাকলেও স্থগিতাদেশ এর কারণে টিকা প্রয়োগে বিরত থাকে গ্রিস ইতালিসহ ইউরোপের আরো অনেক দেশ।ভ্যাকসিন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্যান্য টিকা দুই ডোজ নেয়া লাগলেও জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিন এক ডোজ নিলেই করোনা থেকে সুরক্ষা দেবে শতভাগ। সেই সঙ্গে নতুন ধরনের করোনাকে রুখে দিয়ে খুব স্বল্প সময়েই মানবদেহে তৈরি করবে অ্যান্টিবডি।ইইউর অনুমোদন পাওয়া টিকাগুলোর মধ্যে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি টিকা গ্রহণের তালিকায় আছে জার্মানির বায়োএনটেক ও ফাইজারের টিকা। এরপরই রয়েছে মডার্নার ও অ্যাস্ট্রেজেনেকার ভ্যাকসিন। সবশেষে চলমান টিকা কার্যক্রমে নতুন করে যুক্ত হলো জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা।
জার্মানিতে ভ্যাকসিন কার্যক্রমে নতুন যুক্ত হলো জনসনের টিকা
0
Share.