স্পোর্টস ডেস্ক: করোনার প্রকোপে মাঝপথে স্থগিত হয়ে গেছে আইপিএলের ১৪তম আসর। নতুন করে কবে শুরু হবে বা কোথায় হবে—এ নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। আইপিএল না হলে বিসিসিআইয়ের বিশাল আর্থিক ক্ষতি হবে। এই ক্ষতি সামাল দিতে হলেও টুর্নামেন্টের বাকি অংশ আয়োজন করতে হবে। এখন কোথায় হবে আইপিএলের বাকি অংশ সেটাই বড় প্রশ্ন।আইপিএলের এখনো আসরের এখনও ৩১টি ম্যাচ বাকি। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, করোনার মধ্যে এই ম্যাচগুলো ভারতে হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তাহলে বিদেশের মাটিতেই হতে পারের পরের ম্যাচগুলো। আসছে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার নামও।ক্রিকেট ভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে, আইপিএলের বাকি অংশ আয়োজন করতে এরই মধ্যে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইংল্যান্ডের চারটি কাউন্টি ক্লাব—মিডলসেক্স, সারে, ওয়ারউইকশায়ার ও ল্যাঙ্কাশায়ার।এরই মধ্যে নিজেদের আগ্রহের কথা ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) কে জানিয়েছে ক্লাবগুলো। ভেন্যু হিসেবে লর্ডস, ওভাল, এজবাস্টন এবং ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের কথা উল্লেখ করেছে ক্লাবগুলো।এর আগে আইপিএল দেশের বাইরে আয়োজন নিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বোর্ডের এক শীর্ষকর্তা কর্তা বলেন, ‘বিদেশেই বাকি আইপিএল হবে। কিছু কিছু অপশন নিয়ে বোর্ডে সবার মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। বিসিসিআইকে কেবল এবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’চলতি বছরের শেষ দিকে ভারতের মাটিতেই হওয়ার কথা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেটার সম্ভাব্য ভেন্যুও আরব আমিরাত। সেই হিসেবে আইপিএলও আরব আমিরাতে করা যায়। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, সেপ্টেম্বর মাসে আরব আমিরাতে অতিরিক্তি গরম পড়ে। ওই তাপমাত্রায় আইপিএল আয়োজনে বোর্ডের একাংশ রাজি নয়।তাই বাকি ৩১ ম্যাচ আয়োজনের জন্য তাই ইংল্যান্ডের নাম আসছে। সেখানে এক ভেন্যু থেকে অন্য ভেন্যুতে যাতায়াতগত সুবিধা রয়েছে। বোর্ডের এক কর্তা জানিয়েছেন, আইপিএলের টাইম জোন এডজাস্ট করে ম্যাচ সম্প্রচারে রাজি সম্প্রচার কারী স্টার স্পোর্টসও।শুধু ইংল্যান্ডই নয় অস্ট্রেলিয়ার নামও উঠেছে। আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর বসার কথা। বিসিসিআই সেই বিশ্বকাপের হোস্টিং রাইটস অদলবদল করে নিতে চাইছে। যদি তা সম্ভব হয়, তাহলে ভারতও প্রতিদানস্বরূপ অসি বোর্ডকে আইপিএল আয়োজনের জন্য ভেন্যু ব্যবহারের প্রস্তাব দিতে পারে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।বোর্ডের এক সূত্রের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছেন, ‘অস্ট্রেলিয়া সরকার যদি রাজি থাকে, তাহলে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এই প্রস্তবে রাজি হবে। ভারতের টাইম জোনের সঙ্গে মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টার ব্যবধান পার্থের। যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে, তাহলে আইপিএলের দ্বিতীয় পর্ব পার্থে দেখা যেতে পারে। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে অস্ট্রেলীয় সরকারের অনুমতি এবং সম্প্রচারকারী সংস্থা রাজি হলে।’
আইপিএল আয়োজন করতে আগ্রহী কাউন্টি ক্লাবগুলো
0
Share.