ডেস্ক রিপোর্ট: পর্তুগালের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর পর্তুতে ৭ মে শুরু হওয়া ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সোশ্যাল সামিট পর্তু ৮ মে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সব রাজনৈতিক নেতা এবং সংগঠনগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে “ঘোষণাপত্র পর্তু” স্বাক্ষরের মাধ্যমে শেষ হয়।ইউরোপের ২৭টি দেশের ২৪ জন রাষ্ট্রপ্রধানসহ ইউরোপিয়ান কমিশন, কাউন্সিল এবং পার্লামেন্টের শীর্ষ নেতারা এতে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছেন। এছাড়া অবশিষ্ট তিন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়েছিলেন।ঘোষণাপত্র পর্তু স্বাক্ষরের মাধ্যমে সব নেতা একমত পোষণ করেন, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পুনরুদ্ধার ও আধুনিকায়নের জন্য এমন একটি উচ্চাভিলাষী এজেন্ডা সম্মিলিতভাবে নিশ্চিত ও সমর্থন করার এখনই সময়; যা শক্তিশালী, টেকসই এবং বিস্তৃত। যাতে সমস্ত নাগরিক উপকার পেতে পারে দ্বৈত সবুজ এবং ডিজিটাল ট্রানজিশন ও মর্যাদার সহিত বাস করতে পারে।সম্মেলনের প্রথম দিনে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাজনৈতিক নেতারা (ইউরোপিয়ান কাউন্সিল, ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট, কাউন্সিল অব দ্য ইউনিয়ন অ্যান্ড কমিশন) ট্রেড ইউনিয়ন এবং ইউরোপিয়ান ব্যবসায়িক সংঘের নেতাদের সাথে বিভিন্ন আলোচনা ও মতবিনিময়ের পর একটি সামাজিক চুক্তি স্বাক্ষর করেন।দ্বিতীয় দিনে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ভারত সামিট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এবং বৈশ্বিক সুরক্ষায় বিভিন্ন বিষয়ে ২০১৩ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া আলোচনা পুনরুজ্জীবিত করার জন্য ছিল এর প্রতিপাদ্য। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে এতে যুক্ত হন।মুলত তিনটি মূল লক্ষ্য- ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে কমপক্ষে ৭৮ শতাংশ কর্মসংস্থানের হার নিশ্চিত করা, কমপক্ষে ৬০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক প্রতি বছর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশ নেয়া নিশ্চিত করা ও ৫০ লাখ শিশুসহ কমপক্ষে ১ কোটি ৫০ লাখ মানুষের সামাজিক বর্জন বা দারিদ্র্য ঝুঁকিতে থাকা মানুষের সংখ্যা কমিয়ে নিয়ে আসা। উক্ত লক্ষ্য তিনটি ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য একমত পোষণ করার নিমিত্তে উপস্থাপিত হয়। বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগামী ২০২৫ সালে তা পুনরায় পর্যালোচনা করা হবে।
ঐকমত্যের ভিত্তিতে শেষ হলো ইইউর সামাজিক সম্মেলন
0
Share.