বোমা বৃষ্টি আর লাশের ভিড়ে ফিলিস্তিনে ঈদ

0

ডেস্ক রিপোর্ট:  আজ ১২ মে, বৃহস্পতিবার। মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের সঙ্গে মিল রেখে ফিলিস্তিনেও পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হচ্ছে। কিন্তু ঈদুল ফিতরের দিনেও ইসরায়েলি বোমারু বিমান ঝাঁকে ঝাঁকে এসে গাজা উপত্যকায় বোমাবর্ষণ করছে। ফিলিস্তিনের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার খুব ভোরে গাজা উপত্যকার অধিবাসীরা যখন ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখন থেকেই ইসরায়েলি বিমানগুলো বোমাবর্ষণ শুরু করে। এভাবে বোমা হামলার মধ্য দিয়েই ফিলিস্তিনে শুরু হয় ঈদের সকাল। সাফওয়াত আল-কাহলুত নামে এক ফিলিস্তিনি  বলেন, বোমা বর্ষণের কারণে বুধবার রাত থেকেই গাজা জেগে (ঈদের জন্য জাগতে হয়নি) আছে। কিছু সময় পর পর বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে, আর ভবনগুলো কেঁপে কেঁপে উঠছে।ঈদের সকালে ইসরায়েলের হামলায় গাজা শহরের তেল আল-হাওয়া এলাকায় রিমা তেলবানী নামে এক গর্ভবতী নারী এবং তার শিশু সন্তান নিহত হয়েছে। এছাড়া গাজার শেখ জায়েদ এলাকার একটি আবাসিক ভবনে বোমা হামলায় প্রবীণ এক দম্পতি ভবনটির ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে মারা যান।সংবাদ সংস্থা আল সাফা জানায়, বৃহস্পতিবার হামাসের সামরিক শাখা আল কাসসাম বিগ্রেডের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা ইসরায়েলজুড়ে আমাদের প্রতিরোধ সম্প্রসারিত করেছি। ফিলিস্তিন রক্ষায় আমরা লড়াই চালিয়ে যাব।এদিকে, ফিলিস্তিনের স্থানীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আল জাজিরাকে জানিয়েছে, অব্যাহত বোমা হামলায় ফিলিস্তিনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ৬৭ জনে দাঁড়িয়েছে।  তবে আল জাজিরার হিসেবে, অন্তত ৬৯ জন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে অন্তত ১৭ শিশু ও ৮ নারী রয়েছে।  প্রসঙ্গত, ইসরায়েলের দখলদারিত্বকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন ধরেই বিক্ষোভ চলছিল জেরুজালেমে। গত রোববার (৯ মে) লাইলাতুল কদরের রাতে আল আকসায় নামাজ আদায় শেষে ফিলিস্তিনিরা বিক্ষোভ শুরু করলে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনীর হামলায় অন্তত ৯০ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়। সংঘর্ষের পর থেকে আল আকসা মসজিদ ও তৎসংলগ্ন এলাকা ঘিরে রাখে ইসরায়েলি পুলিশ। এর জেরে আল আকসা থেকে নিরাপত্তা বাহিনী প্রত্যাহারে ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়ে হুঁশিয়ারি দেয় হামাস। কিন্তু ইসরায়েল ওই হুমকিকে আমলে না নিলে ১০ মে সন্ধ্যার পর গাজা থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে রকেট হামলা শুরু করে হামাস। তারপর থেকেই গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

Share.