লাইফস্টাইল ডেস্ক: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার’-এর উদ্যোগে প্রতি বছর স্তন ক্যান্সার নিয়ে নানা দিক তুলে ধরে সচেতনতা বাড়ানো চেষ্টা করা থাকে। তবে কতটুকু সচেতন হয় নারী সমাজ। সামান্য সচেতন হলেওই এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। চলুন জেনে নেয়া যাক। আগে থেকে সচেতনতা কিছুটা বাড়লেও এখনো অনেকেই সেভাবে এ রোগ আমলে নেন না বেশির ভাগ নারী। সে কারণে রোগ ধরা পড়তে দেরি হয়ে যায়। আবার অনেকে লজ্জার কারণেও বিষয়টি চেপে যান।
যেসব কারণে স্তন ক্যান্সার হয়:
বাড়তি ওজন স্তন ক্যান্সারের অন্যতম কারণ। বয়স একটি বড় রিস্ক ফ্যাক্টর। ইদানীং মানুষের গড় আয়ু অনেক বেড়েছে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। আর এ কারণে ইদানীং স্তন ক্যান্সারও বাড়ছে।দেরিতে বিয়ে বা বিয়ে না করা কিংবা সন্তান না হওয়া স্তন ক্যান্সোর ডেকে আনতে পারে। অল্প বয়সে মেনার্কি অর্থাৎ পিরিয়ড শুরু হওয়া এবং বেশি বয়সে মেনোপজ হলে দীর্ঘ দিন ইস্ট্রোজেনের সঙ্গে সহবাস করতে হয়। ইস্ট্রোজেন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।সন্তানকে বুকের দুধ না পান করালেও স্তন ক্যান্সার হতে পারে। ভাজাভুজি ও তৈলাক্ত খাবার, ফাস্ট ফুড, অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট খেলে ওজন বেড়ে যায়, ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে।
অ্যালকোহল, তামাক সেবন অন্যান্য শারীরিক সমস্যার সঙ্গে সঙ্গে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। রেডিয়েশনে এক্সপোজার হলেও ঝুঁকি থাকে।বংশে এর আগে কেউ আক্রান্ত হলে অর্থাৎ মা, বোন, খালা, ফুফুর স্তন ওভারি ক্যান্সার থাকলে ঝুঁকি বেশি থাকে। বিএআরসিএ ১, ও বিএআরসি ২, জিন থাকলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক বেশি।
যেভাবে বোঝা যায় :
বয়স ৩০ বছর পার হলেই নিয়মিত স্তন পরীক্ষা করা উচিৎ। কোনো রকম অস্বাভাবিকতা দেখলে সতর্ক হন। কোনো ব্যথাহীন ফোলা অংশ আছে বুঝলেই ডাক্তারের শরাণাপন্ন হোন।স্তনের ত্বকের কোনো অংশ পুরু হয়ে গেলে সতর্ক হন। লালচে বা ঈষৎ কমলা রঙের ত্বক দেখলে স্তন ক্যান্সারের সম্ভাবনার কথা ভাবতে হবে।নিপলের গঠন বদলে গেলে বা ভিতরের দিকে ঢুকে গেলে কিংবা কোনো ডিসচার্জ হলেও অবিলম্বে ডাক্তার দেখান। স্তনের আকারের হেরফের হলেও সতর্ক হতে হবে।যে কোনো ক্যান্সারের একটা উল্লেখযোগ্য উপসর্গ ওজন কমে যাওয়া। কোনো কারণ ছাড়া ওজন কমলে অবিলম্বে ডাক্তার দেখান।
যেসব কারণে স্তন ক্যান্সার হয়
0
Share.