ঢাকা অফিস: রোহিঙ্গা বসতি স্থাপনের কয়েক মাসের মধ্যেই ভাসানচরে গড়ে উঠেছে ‘শক্তিশালী’ অর্থনীতি। এখানে রোহিঙ্গাদের কেনা-কেটার জন্য যেমন সাধারণ দোকান ও কাঁচাবাজার গড়ে তোলা হয়েছে, তেমনি গড়ে উঠেছে আধুনিক সুপার শপ। যেখানে মিলছে জীবনধারণের সব উপকরণ। মাসে কোটি টাকার বেশি লেনদেন হচ্ছে এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে।ভাসানচরের ওয়্যারহাউজ পেরিয়ে মূল ক্লাস্টারমুখী হতেই চোখে পড়বে বিশাল আকৃতির সুপার শপের। কী নেই ভাসানচরের একমাত্র এ সুপার শপে। আধুনিক সব পোশাক থেকে শুরু করে, হাঁড়িপাতিল এমনকি প্রসাধনসামগ্রী। সাংসারিক জীবনের সব উপকরণ সহজে মিলছে এখানে। সকাল না হতেই রোহিঙ্গা নারী নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে আসছে এই সুপার শপে।ভাসানচর সুপার শপের মালিক জামাল উদ্দিন গাজী বলেন, দোকানে সব ধরনের জিনিসপত্র রয়েছে। এখানে রোহিঙ্গা থেকে শুরু করে এনজিও কর্মকর্তারাও এসে বাজার করেন। ব্যবসাও ভালো। প্রতিদিন ৮০ থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।আর ক্লাস্টারের শেষ প্রান্তে গড়ে তোলা হয়েছে রোহিঙ্গা মার্কেট। সুপার শপের বিক্রেতা বাংলাদেশি হলেও মার্কেটের ক্রেতা ও বিক্রেতা রোহিঙ্গা। যেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অন্তত সাড়ে ৩০০ দোকান রয়েছে। তার পাশেই নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে ঢাকা নিউমার্কেটের আদলে তৈরি করা হয়েছে আধুনিক কাঁচাবাজার। মাছ-মাংস-শাকসবজি সবকিছুই পাওয়া যায় এ বাজারে।ভাসানচরে বর্তমানে ১৮ হাজারের রোহিঙ্গার পাশাপাশি তাদের তদারকিতে কর্মরত রয়েছেন দেড় হাজারের বেশি নিরাপত্তা কর্মী, সরকারি কর্মচারী ও এনজিও কর্মকর্তা।ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কমডোর রাশেদ সাত্তার বলেন, বাজারে যে মালামালগুলো নিয়ে আসা হচ্ছে সেগুলোর গণগতমান নির্ধারণও করা হচ্ছে। এ ছাড়াও বাজারের মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হচ্ছে।গত বছরের ডিসেম্বর থেকে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের দিয়ে মানব বসতি স্থাপনের কাজ শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে এখানে এক লাখ রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করবে বাংলাদেশ সরকার।
ভাসানচরে আধুনিক সুপার শপ
0
Share.