মাত্র সাড়ে ৩ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে ব্রিটেন!

0

ডেস্ক রিপোর্ট:  শব্দের চেয়েও দ্বিগুণ গতিসম্পন্ন বিমান কেনার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন এয়ারলাইন ইউনাইটেড। আগামী ২০২৯ সাল নাগাদ ফের সুপারসনিক গতিতে ভ্রমণ করতে পারবেন যাত্রীরা।জানা যায়, শব্দের চেয়েও দ্বিগুণ গতির ১৫টি বিমান কিনবে এয়ারলাইন ইউনাইটেড। এর মধ্য দিয়ে আঠারো বছর ফের সুপারসনিক বিমানে ভ্রমণের সুযোগ তৈরি হবে।
২০০৩ সালে এয়ার ফ্রান্স ও ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ কনকর্ডের শেষ ফ্লাইটটি পরিচালনার পর সুপারসনিক যুগের অবসান ঘটেছিল। ২০২৯ সাল নাগাদ যা আবার ফিরে আসছে বলে জানা যায়।মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টায় যাওয়া যাবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ব্রিটেনে। যার মাধ্যমে বদলে যাবে আকাশ পথে যাত্রার অভিজ্ঞতা। অত্যাধুনিক যুগের যাতায়াত ব্যবস্থায় প্রবেশ করবে বিশ্ব।যুক্তরাষ্ট্র থেকে ব্রিটেনে যেতে অর্ধেকে নেমে আসবে সময়। শব্দের চেয়ে দুই গুণ বেশি গতি নিয়ে চলবে উড়োজাহাজ। আর তাতেই সাড়ে ৬ হাজার কিলোমিটারের বেশি পথ পাড়ি দিতে সময় লাগবে মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টা। যেখানে বর্তমানে সময় লাগছে সাড়ে সাত থেকে আট ঘণ্টার মতো।সুপারসনিক প্লেনের মাধ্যমে দুই দেশের যাতায়াত শুরুর ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন সংস্থা এয়ারলাইস ইউনাইটেড। উচ্চগতির ১৫টি সুপারসনিক উড়োজাহাজ কেনার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে তারা।এছাড়া আরও ৩৫টি উড়োজাহাজ কিনতে পারবে ইউনাইটেড। মার্কিন আকাশযান নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান বুম সুপারসনিক থেকে এই উড়োজাহাজগুলো কেনা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে ব্রিটেনের লন্ডনে যেতে সাড়ে তিন ঘণ্টা আর মার্কিন শহর সান ফ্রান্সিসকো থেকে জাপানের রাজধানী টোকিওতে যেতে লাগবে মাত্র ছয় ঘণ্টা। যার মাধ্যমে বদলে যাবে আকাশ পথে যাত্রার অভিজ্ঞতা। দ্রুত যোগাযোগ সহজ হবে। অত্যাধুনিক যুগের যাতায়াত ব্যবস্থায় প্রবেশ করবে বিশ্ব।তবে এমন অভিজ্ঞতা আগেও ছিল। কিন্তু সেটি তিক্ত। খুব বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। যার অন্যতম কারণ অতিরিক্ত ব্যয়। তবে এবার সব সংকট কেটে যাবে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ। যদিও নতুন এই বাণিজ্যিক উড়োজাহাজের প্রতিটি নির্মাণ থেকে শুরু করে চলাচলের অনুমতি পেতে এক থেকে দেড় হাজার কোটি মার্কিন ডলার পর্যন্ত খরচ হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই সুপারসনিক উড়োজাহাজগুলোয় নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করা হবে, এতে কার্বন নিঃসরণ হবে না ।১৯৭০-এর দশকে প্রথম ফ্রান্স থেকে আকাশে ওড়ে বাণিজ্যিক সুপারসনিক উড়োজাহাজ কনকর্ড। মূলত এয়ার ফ্রান্স ও ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ এই উড়োজাহাজের ফ্লাইট পরিচালনা করতো। কিন্তু অতিরিক্ত ব্যয়ভার ও পরিবেশগত বিধিনিষেধের কারণে ২০০৩ সালে এই উড়োজাহাজগুলো তুলে নেয়া হয়।তবে এবার আশা করা হচ্ছে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২০২৯ সাল থেকে এই উড়োজাহাজে যাত্রী পরিবহন করা যাবে।

Share.