রবিবার, নভেম্বর ২৪

নথি ফাঁসের তদন্তে সাংবাদিকদের ইমেইল-ফোন রেকর্ড আর জব্দ করবে না মার্কিন বিচার বিভাগ

0

ডেস্ক রিপোর্ট: কোনো সাংবাদিক সরকারের সংবেদনশীল তথ্য বা নথি ফাঁস করলে, তা তদন্তের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের ই–মেইল ও ফোনের রেকর্ড আর জব্দ করবে না যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন বিচার বিভাগ গত শনিবার এ ঘোষণা দিয়েছে। এদিকে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের কাছ থেকে এমন সময় এই ঘোষণা এলো, যখন তথ্য ফাঁসের তদন্তে সাংবাদিকের ‘সোর্স’ বা তথ্যদাতাদের চিহ্নিত করতে তাঁদের ই–মেইল ও ফোন রেকর্ড জব্দ করার ঘটনা বাড়ছে। সে বিবেচনায় মার্কিন বিচার বিভাগের এমন ঘোষণাকে নীতিগত বড় পরিবর্তন বলে মনে করা হচ্ছে।মার্কিন বিচার বিভাগের জনসংযোগ পরিচালক অ্যান্থনি কোলি এক বিবৃতিতে বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডনের নির্দেশনা অনুযায়ী, বিচার বিভাগ তথ্য ফাঁসের তদন্তে সাংবাদিকের তথ্যদাতার তথ্য জানতে তাঁকে আইনি বাধ্যবাধকতায় ফেলার দীর্ঘদিনের চর্চা আর অনুসরণ করবে না।এদিকে, বিচার বিভাগের ঘোষণার এক দিন আগেই মার্কিন সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানায়, সংবাদপত্রটির শীর্ষ এক আইনজীবী জেনেছেন যে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় নিউইয়র্ক টাইমসের চার সাংবাদিকের ই–মেইলের তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করেছে বিচার বিভাগ। এই চেষ্টা অব্যাহত ছিল জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পরও। এ ছাড়া সম্প্রতি আরও জানা যায়, গোপনে সিএনএন, ওয়াশিংটন পোস্টসহ অন্যান্য মার্কিন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকদের তথ্য জোগাড় করার চেষ্টা করেছে বিচার বিভাগ।তবে বিচার বিভাগের এমন তৎপরতার বিষয়ে হোয়াইট হাউস জানত না বলে দাবি করা হয়। এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব জেন সাকি বলেন, ‘অপরাধের তদন্তের ব্যাপারে বিচার বিভাগ স্বাধীন। তাই, শুক্রবার রাতের আগ পর্যন্ত হোয়াইট হাউসের কেউ এ ধরনের তৎপরতার বিষয়ে জানত না।’হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব আরও বলেন, ‘হোয়াইট হাউস অপরাধ মামলার তদন্তে কোনো হস্তক্ষেপ করে না। ফাঁস হওয়া নথির তদন্তের ক্ষেত্রে প্রতিবেদকদের তথ্য চেয়ে সমন জারির বিষয়টি (মার্কিন) প্রেসিডেন্টের দিক নির্দেশনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এবং বিচার বিভাগ নিশ্চিত করেছে যে, এ ব্যাপারে তারা আর সামনে এগোবে না।’  তবে সিএনএন বলছে, বিচার বিভাগ সাংবাদিকের তথ্য জোগাড়ের চর্চা থেকে বেরিয়ে আসার কথা বললেও এই বিভাগের আনুষ্ঠানিক নির্দেশিকা বা নীতিমালায় কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। যার অর্থ দাঁড়ায়, মার্কিন প্রশাসনের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চর্চাটি আবারও চালু হতে পারে।

Share.