স্পোর্টস ডেস্ক: এবারের ইউরোর আগে ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায় অনেক তারকা ফুটবলার। শেষবারের মতো ইউরোর মঞ্চে জ্বলে ওঠার আশায় প্রহর গুনছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, ম্যানুয়েল ন্যয়ার, গ্যারেথ বেল, থমাস মুলাররা। এটাই হয়তো ইউরোর মঞ্চে তাদের শেষ খেলা।দেখে নেওয়া যাক সম্ভাব্য শেষবারের মতো যারা ইউরো খেলবেন:
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো:
ফুটবল দুনয়িার অনন্য এক নক্ষত্র। রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়াই যার নিত্য অভ্যাস। নিজের ক্ষিপ্রগতি আর চমৎকার কৌশল দিয়ে গেল কয়েক বছর ফুটবল দুনিয়াকে বুদ করে রেখেছেন। নিজে মাঠে থাকলে সতীর্থদেরও উজ্জীবিত করেন রোনালদো। তাকে ছাড়া পর্তুগাল দলটা ভাবাই যায় না। ২০১৬ সালে ভাঙাচোরা দল নিয়েও শক্তিশালী দলগুলোকে চমকে দিয়ে শিরোপা জিতে নেয় সেলেকাওরা। রোনালদোর কারিশমার কারণেই সম্ভব হয়েছিল অসাধ্য সাধন। ফাইনালে ইনজুরিতে পড়ে রোনালদোর সেই কান্না হৃদয় ভেঙে ছিল ফুটবল প্রেমীদেরও।রোনালদো মাঠ ছাড়লেও, তার আলোয় আলোকিত হয়েছিলেন সতীর্থরা। তাইতো ফ্রান্সের মাটিতে স্বাগতিকদের হারিয়েই শিরোপা জয় সম্ভব হয়েছিল। সময়তো আর থেমে থাকে না। পর্তুগালের জার্সিতে ১৭৫ ম্যাচে রোনালদোর গোল ১০৪টি। বয়স এখন ৩৬। আগামী ইউরোতে আর খেলা হচ্ছে না এটা প্রায় নিশ্চিত। তাই নিজের শেষ ইউরোটা জয়ের উৎসবে রাঙ্গিয়ে তুলতে চাইবেন সিআর সেভেন। যদিও এবার মৃত্যুকূপ এফ গ্রুপে শক্তিশালী জার্মানি ও ফ্রান্সের সঙ্গে পড়েছে সেলেকাওরা। তারপরেও শেষ আসরে বাজিমাত করেই ফিরবেন রোনালদো। আশা সমর্থকদের।
ম্যানুয়্যাল ন্যয়ার:
রোনালদোর মতো গোল না করেও, দলের ত্রাণকর্তা তিনি। গোলপোস্টের অতন্দ্র প্রহরী ম্যানুয়্যাল ন্যয়ার। ২০১৪ বিশ্বকাপে জার্মানির শিরোপা জয়ে বড় ভূমিকা ছিল ৪০ বছর বয়সী এই তারকার। ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ডাইমানশাফটদের জার্সিতে খেলেছেন ১০০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। এবারের ইউরো ন্যয়ারের শেষ আসর। ন্যয়ার জ্বলে উঠলে নিরাপদ থাকবে জার্মানদের রক্ষণদূর্গ। সমর্থকরাও চেয়ে থাকবেন সেই আশায়।
গ্যারেথ বেল:
ওয়েলসের নাম আসলে সবার আগেই উঠে আসবে গ্যারেথ বেলের নাম। বয়স ৩১। সম্ভবত এটিই শেষ ইউরো বেলের। ২০০৬ সালে ওয়েলস দলের জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন। এরপর আর কখনোই পেছনে ফিরে তাকতে হয়নি বেলকে। ৯২ ম্যাচে তার গোল ৩৩টি। শেষের আসরটা বর্ণিল করে রাখতে চাইবেন গ্যারেথ বেলও।
থমাস মুলার:
জার্মানির আক্রমণভাগের অন্যতম সেরা সৈনিক থমাস মুলার। ২০১০ সালে অভিষেকের পর এখন পর্যন্ত খেলেছেন ১০২টি ম্যাচ। গোল করেছেন ৩৯টি। মুলারেরও এটিই শেষ ইউরো। নতুনদের ভিড়ে নিজের সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা দিয়ে দলকেও ইউরোতে সাফল্য উপহার দিতে চান মুলার।
সার্জিও বুসকেটস:
স্পেনের অন্যতম সেরা কাণ্ডারি। করোনায় আপাতত শঙ্কার মুখে তার ইউরোতে খেলা। তারপরেও সমর্থকরা আশায় আছেন সুস্থ হয়েই স্পেনের হাল ধরবেন বুসকেটস। কারণ এটিই য তার সম্ভাব্য শেষ ইউরো। ২০০৯ সালে স্পেনের হয়ে অভিষেকের পর এখন পর্যন্ত খেলেছেন ১২৩টি ম্যাচ। মাঝমাঠের সৈনিক বুসকেটসের সুস্থতার প্রার্থনায় লা ফিউরিয়া রোজা সমর্থকরা।
করিম বেনজেমা:
দীর্ঘ ৬ বছর পর আবার দিকে মুখ তুলে তাকিয়েছেন কোচ দিদিয়ের দেশম। সেক্স টেপ নিয়ে সতীর্থ ফুটবলার ভালবুয়েনাকে ব্লাকমেইলের অভিযোগে জাতীয় দল থেকে নির্বাসনে যেতে হয় ৩৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডকে।২০০৭ সালে অভিষেক হওয়া আবার ফিরে পাওয়া নতুন জীবনে এটিই শেষ ইউরো তার। রিয়াল মাদ্রিদের মত ইউরোতেও নিজের দুর্দান্ত পারফরমেন্স ধরে রাখতে চান বেনজেমা।এছাড়াও এবারের ইউরো দিয়েই জার্মানির সঙ্গে দীর্ঘ ১৫ বছরের বন্ধন ছিন্ন করবেন কোচ জোয়াকিম লো।