ঢাকা অফিস: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘গণপরিবহণে ফিফটি পারসেন্ট সিটের ব্যবস্থা রাখার কথা থাকলেও তা আমরা কেউই মানছি না। যার ফলে করোনার প্রাদুর্ভাব এতোটা বেশি দেখা যাচ্ছে। উত্তরবঙ্গের হাসপাতালগুলো রোগীতে ভরে গেছে এবং সেই সঙ্গে রোগী সামাল দেওয়া কঠিন হচ্ছে। আমরা চাই না ঢাকাতে ও অন্যান্য অঞ্চলেও উত্তরবঙ্গের মতো করোনার প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাক।’‘করোনা যখন আমাদের প্রায় নিয়ন্ত্রণে ছিল তখন সারা দেশে দৈনিক রোগী শনাক্তের সংখ্যা ছিল প্রায় দেড় হাজারের মতো। কিন্তু এখন সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার হাজারেরও বেশি। প্রথমদিকে আমাদের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪০০, বিপরীতে এখন দৈনিক আক্রান্ত প্রায় চার হাজার। কাজেই আমাদেরকে আরও সচেতন হতে হবে’, যোগ করেন জাহিদ মালেক।আজ শুক্রবার দুপুরে মানিকগঞ্জের গড়পাড়াস্থ নিজ বাসভবনে এলাকার মুরব্বিদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।জাহিদ মালেক করোনার টিকার বিষয়ে বলেন, ‘আমরা দ্বিতীয় পর্যায়ের টিকা প্রদানের কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে পারিনি। চায়নার সঙ্গে কথা হয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গেও কথা হয়েছে; এমনকি ভারতের সঙ্গেও টিকা আনার বিষয়ে চেষ্টা চলছে। এবং আশা করছি, অচিরেই পেয়ে যাব। তাই যতদিন পর্যন্ত টিকার ব্যবস্থা না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত আমাদেরকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত।’এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী লকডাউন প্রসঙ্গে বলেন, ‘যেসব দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে ছিল না সেসব দেশ কিন্তু অর্থনীতির দিক থেকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাজেই আমাদেরকে যদি বারবার লকডাউন দিতে হয় এবং পরিবহণেও লকডাউন দিতে হয় তাহলে আমাদের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই আমাদের উচিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা।এ সময় লকডাউন বৃদ্ধির ব্যাপারে সরকারের পরবর্তীতে কী পদক্ষেপ আছে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘লকডাউন তো সারাবছর দেওয়া সম্ভব নয়। উত্তরবঙ্গের কিছু জায়গায় লকডাউন দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানো হয়েছে। স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে, বিয়েসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান তো বন্ধ নেই। আমরা মনে করি, এখন যদি আমরা যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারি তাহলেই আমরা পরবর্তীতে ভালো থাকতে পারব।’
উত্তরবঙ্গের হাসপাতালগুলো রোগীতে ভরে গেছে এবং রোগী সামাল দেওয়া কঠিন হচ্ছে:স্বাস্থ্যমন্ত্রী
0
Share.