ফাঁকা বাড়িতে কিশোরী মেয়েকে ১০৫ বার ধর্ষণ, সৎ বাবার ১০৫০ বছর কারাদণ্ড!

0

ডেস্ক রিপোর্ট:নিজের সৎ মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় মালয়েশিয়ায় এক ব্যক্তিকে ১ হাজার বছরের বেশি কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তবে এখন তিনি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করছেন এবং সাজার মেয়াদ কমানোর আবেদন করেছেন। ওই ব্যক্তির আইনজীবী কে এ রামু বলেন, সম্প্রতি কাজাং কারাগার থেকে হাইকোর্টে একটি আবেদন করেছেন তারা।চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি ক্লাং সেশন কোর্ট ওই ব্যক্তিকে ১০৫০ বছর কারাদণ্ড দেন। এসময় তাকে ২৪টি বেত্রাঘাতও করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এর আগে ওই ব্যক্তি আদালতের কাছে তার ১২ বছরের সৎ মেয়েকে দুই বছর ধরে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন। তিনি জানান, এই বছরে নিজের কিশোরী কন্যাকে ১০৫ বার ধর্ষণ করেছেন তিনি।জানা গেছে, ওই ব্যক্তি ২০১৮ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তার সৎ মেয়েকে ধর্ষণ করেন। এই অপরাধের জন্য মালয়েশিয়ার প্রচলিত আইনে ১০ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৩০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং বেত্রাঘাতের বিধান রয়েছে।এর আগে ২০১৫ সালে ওই কিশোরীর বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হওয়ার পর ২০১৬ সালের নভেম্বরে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বিয়ে করেন ওই কিশোরীটির মা। কিশোরীটি জানায়, ঘটনার সময় বাড়িতে তিনি এবং তার সৎ বাবা ছাড়া আর কেউ ছিল না। তাকে হুমকিও দিয়েছিল তার বাবা বলে জানায় ওই কিশোরী।নিউ স্ট্রেইটস টাইমস জানিয়েছে, বিচারক এম. কুনাসুন্দরি ওই ব্যক্তিকে ১০ বছর কারাভোগের নির্দেশ দেন। এছাড়া ধর্ষণের প্রতিটি অভিযোগের জন্য দুটি করে বেত্রাঘাতের নির্দেশ দিয়েছেন। গত ২০ জানুয়ারি অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিচারক জানান, ওইদিন থেকেই এই সাজার মেয়াদ শুরু বলে বিবেচিত হবে।ওই ব্যক্তির আইনজীবী রামুর কথায়, তার মক্কেল কোনও প্রতিনিধি ছাড়াই তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন। তাই কিসের ভিত্তিতে ওই রায় দেয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়ে আবেদন করার কথা জানিয়েছেন রামু। তিনি বলেন, তার মক্কেলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ এবং সাজার বিষয়ে অবশ্যই বিচারককে কিছু বিষয় নিশ্চিত করতে হয়েছে।তিনি বলেন, যেমন অভিযুক্ত ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ বুঝতে পারছেন এবং অভিযোগে কোনও ত্রুটি নেই বলে নিশ্চিত হতে হবে। তবে দেশটিতে চলমান মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডারের (এমসিও) কারণে আদালত নতুন কোনও তারিখ দেননি বলে জানিয়েছেন রামু।

Share.