দেশে ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬৩ জনের মৃত্যু

0

ঢাকা অফিস:দেশে ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৫ হাজার ৩৯২ জনে। আর ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ১১ হাজার ৫২৫ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে নয় লাখ ৬৬ হাজার ৪০৬ জনে।মঙ্গলবার (৬ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।সোমবার (৫ জুলাই) ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছিল ১৬৪ জনের এবং শনাক্ত হয়েছিল ৯ হাজার ৯৬৪ জন।এর আগে চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছিল ১১২ জনের। সে পর্যন্ত এটি ছিল দেশের সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। গত ২৫ জুন ২৪ ঘণ্টায় ১০৮ জনের মৃত্যু হয়ে দ্বিতীয় মৃত্যুর রেকর্ড হয়। ২৭ জুন ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয় ১১৯ জনের, ২৮ জুন ১০৪ জন, ২৯ জুন ১১২ জন, ৩০ জুন ১১৫ জন, ১ জুলাই ১৪৩ জন, ২ জুলাই ১৩২ জন, ৩ জুলাই ১৩৪ জন এবং ৪ জুলাই ১৫৩ জনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি-বেসরকারি ৬০৫টি ল্যাবরেটরিতে ৩৮ হাজার ৩৯টি নমুনা সংগ্রহ ও ৩৬ হাজার ৬৩১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। দেশে এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৬৭ লাখ ৯৪ হাজার ১৯৩টি।দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত করোনায় শনাক্তের মোট হার ১৪ দশমিক শূন্য ২২ শতাংশ।করোনায় দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৪৩৩ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৮ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ।দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃতদের মধ্যে বয়সের হিসাবে বিশোর্ধ্ব পাঁচজন, ত্রিশোর্ধ্ব ১১ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ২৭ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ২৯ জন ও ষাটোর্ধ্ব ৯১ জন রয়েছেন। বিভাগওয়ারী হিসাবে মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৪৫ জন, চট্টগ্রামে ২৪ জন, রাজশাহীতে ২৪ জন, খুলনায় ৪৬ জন, বরিশালে ছয়জন, সিলেটে দুইজন, রংপুরে ১১ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে পাঁচজন রয়েছেন।প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত বছরের ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

Share.