ঢাকা অফিস: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ফুডস ফ্যাক্টরি থেকে উদ্ধার হওয়া লাশগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (০৯ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্সে ৪৯টি মরদেহ ঢামেকে পৌঁছেছে। এদিকে নিহতদের পরিচয় এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।ফায়ার সার্ভিসের লিডার মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন এ তথ্য। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার পর ওই কারখানায় আগুন লাগে। আজ দুপুর পর্যন্ত আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসের ১৮ ইউনিট।আগুন লাগার পর গতকাল সন্ধ্যাতেই তিনজনের মৃত্যুর কথা জানা গিয়েছিল। দুপুর ২টা পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা তিনেই সীমাবদ্ধ ছিল। এরপরই ফায়ার সার্ভিস জানায়, আগুন লাগা কারখানার ১-৪ তলার মধ্যে ৪৯টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ৫ ও ৬ তলায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এখনও প্রবেশ করতে পারেনি। অগ্নিকাণ্ডে ভবনে আটকাপড়ে নিখোঁজ হওয়া শ্রমিকদের উদ্ধারে দেরি হওয়ায় পুলিশ ও সাংবাদিকদের ওপর দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। শুক্রবার বেলা ১১টার থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত প্রায় আধা ঘণ্টা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুলিশের ওপর এলোপাতাড়ি ইট-পাটকেল নিক্ষেপসহ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।রূপগঞ্জের জুস কারখানার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম বেপারীকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরা হলেন- জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম বেপারী, রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ নুসরাত জাহান, জেলার ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন, পুলিশের একজন প্রতিনিধি এবং কলকারখানা অধিদপ্তরের জেলার একজন কর্মকর্তা।
রূপগঞ্জের ৪৯ মরদেহ ঢামেকে
0
Share.