ডেস্ক রিপোর্ট: ভারতের কেরালা রাজ্যে প্রথম জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছে সেখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। জানা যায়, কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভিনা জর্জ জিকা ভাইরাস শনাক্তের খবর নিশ্চিত করে জানিয়েছে, আরও ১৩ জন জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে ধারণা করছে রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, মশাবাহিত এই ভাইরাস শিশু মস্তিস্কে জটিলতা এবং গুলেন বেরি সিন্ড্রোম বিরল রোগে আক্রান্ত হন রোগীরা। স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা আরও জানাচ্ছেন, এই ভাইরাস বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মশাবাহিত। তবে কখনো কখনো যৌন সংশ্রবের মাধ্যমেও ঘটে।এক বিবৃতিতে ভিনা জর্জ জানান, কেরালা এবং তামিলনাডু রাজ্যের সীমান্ত অঞ্চলের একটি শহরে ২৮ বছর বয়সী এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর শরীরে জিকা ভাইরাস শনাক্ত হয়। গত ২৮ জুন জ্বর মাথা ব্যথা এবং শরীরে র্যাশ নিয়ে তিনি থ্রিভানাথাপুরাম শহরের সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। বুধবার ওই নারী এক সন্তানের জন্ম দেন।ভিনা জর্জ আরও জানান, ওই নারীর অবস্থা এখন স্থিতিশীল। ওই নারীর রাজ্যের বাইরে ভ্রমণের কোনো ইতিহাস নেই। ওই নারীর মায়েরও এক সপ্তাহ আগে একই ধরনের লক্ষণ ছিল। প্রাথমিকভাবে আমরা এটি জিকা ভাইরাস হিসেবেই দেখছি। ভিনা জর্জ আরও জানান, এরই মধ্যে ১৩ জন সম্ভাব্য রোগীর কাছ থেকে নেওয়া রক্ত পরীক্ষার জন্যে ভারতের পুনের ভাইরোলজি ইনস্টিটিটিউটে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া যে অঞ্চলে সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে সেখানে স্বাস্থ্যকর্মীদের পাঠানো হয়েছে।জনস্বাস্থ্যবিদরা জানান, মশাবাহিত এই ভাইরাস শিশু মস্তিস্কে জটিলতা এবং গুলেন বেরি সিন্ড্রোম বিরল রোগে আক্রান্ত হন রোগীরা। স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা আরও জানাচ্ছেন, এই ভাইরাস বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মশাবাহিত। তবে কখনো কখনো যৌন সংশ্রবের মাধ্যমেও ঘটে। জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের প্রথমে জ্বর, শরীরের বিভিন্ন অংশে র্যাশ, গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা, চোখ লাল হয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা যায়। ব্রাজিলে কয়েক বছর আগে এই ভাইরাস ভরাবহ আকারে ছড়িয়ে পড়েছিল বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাম মাধ্যমগুলো।ভারতের কেরালা রাজ্য করোনা মহামারি দ্বিতীয় ডেউ মোকাবিলা করছে। গত সাতদিন ধরে কেরালায় সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের বেশি। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে এই কেরালা রাজ্যেই ভারতের প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়।
করোনার মাঝেই ভারতে জিকা ভাইরাসের থাবা
0
Share.