ডেস্ক রিপোর্ট: ইরানের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ আফগান সীমান্ত ক্রোসিং নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে তালেবান যোদ্ধারা। আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) ইরানের সঙ্গে সীমান্ত ক্রোসিংসহ আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা দখল করেছে তালেবান।এর আগে তাজিকিস্তান, তুর্কমিনিস্তান, চীন ও পাকিস্তান সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় তারা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে।এদিকে আফগানিস্তানের কয়েক ডজন জেলার কেন্দ্র তালেবানের নিয়ন্ত্রণে বলে জানিয়েছেন পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি। তিনি বলেন, বহু জেলা তাদের নিয়ন্ত্রণে, এই কথা যেমন সত্য, তেমনই প্রাদেশিক কেন্দ্রগুলোও তাদের হামলার হুমকিতে।আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই কর্মকর্তা বলেন, তালেবানের হাতে হেরাত প্রদেশের ইরান সীমান্তঘেঁষা ইসলাম কোয়ালা ক্রোসিংয়ের পতন ঘটেছে। সেখান থেকে কাস্টমস কর্মকর্তারা পালিয়ে গেছেন।তালেবানের হাত থেকে বাঁচতে আফগান সেনারা ইরান ভূখণ্ডে আশ্রয় নিয়েছেন বলেন তেহরানের আল-আলালাম টেলিভিশন জানিয়েছে।তবে এই খবর অস্বীকার করেছেন আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তারিক আরিয়ান। তিনি বলেন, ওই সীমান্ত ক্রোসিং এখনো সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে।
এদিকে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিদেশি সেনাদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর দেশটি গৃহযুদ্ধের দিকে ধাবিত হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি করে দিয়েছেন ব্রিটিশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান নিক কার্টার।আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিদেশি সেনাদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর দেশটি গৃহযুদ্ধের দিকে ধাবিত হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি করে দিয়েছেন ব্রিটিশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান নিক কার্টার।অধিকাংশ ব্রিটিশ সেনা আফগানিস্তান ছেড়েছে—ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাহিনীর সহায়তা ছাড়া দেশটির রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে।নিক কার্টার আরও জানান, আফগানিস্তানে ১৯৯০-এর দশকের গৃহযুদ্ধের মতো পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে। সেখানে যুদ্ধবাজতন্ত্র নামের একটি সংস্কৃতি আছে। নৃতাত্ত্বিক ও উপজাতীয় ধারায় নিরাপত্তা বাহিনী ভেঙে যেতে পারে।ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা প্রধান বলেন, যদি এমন কিছু ঘটে, তবে আমার ধারণা, তালেবান দেশটির একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করবে। কিন্তু, অবশ্যই, তারা কখনোই পুরো দেশ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না।এদিকে দুই দশকের সংঘাতের পর আফগানিস্তানে ব্রিটিশ সরকারের আনুষ্ঠানিক ভূমিকার ইতি ঘটেছে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, আফগানিস্তানের ন্যাটো মিশনে মোতায়েন করা সব ব্রিটিশ সেনা দেশে ফিরে আসছে। এ সময় ব্রিটিশ বাহিনীর সফলতা ও অর্জনের প্রশংসা করেন তিনি।স্থলবেষ্টিত দেশটিতে ব্রিটিশ সেনারা যে বিপদের মুখোমুখি ছিলেন, সেই কথাও স্বীকার করেন তিনি।পার্লামেন্টে বরিস জনসন বলেন, তাদের ফিরে আসার সময়সীমা প্রকাশ না করার স্পষ্ট কারণ আছে। কিন্তু আমি বলতে পারি, আমাদের অধিকাংশ সেনা সেখান থেকে ফিরে এসেছে। ২০১৪ সালের আগ পর্যন্ত আফগান যুদ্ধে বড় ভূমিকা রেখেছে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী। দেশটিতে এ পর্যন্ত ৪৫৭ ব্রিটিশ সেনা নিহত হয়েছে।
ইরানের সঙ্গে আফগান সীমান্ত ক্রোসিং তালেবানের নিয়ন্ত্রণে
0
Share.