স্কুলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অ’শালীন ভিডিও পোস্ট ৫ম শ্রেণির ছাত্রীর!

0

ডেস্ক রিপোর্ট:  স্কুলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীদের জীববিজ্ঞানের ক্লাস নিচ্ছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া গ্রামীণ এলাকার সরকারি একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। হঠাৎ গ্রুপে শেয়ার করা হয় একটি ভিডিও, যা দেখে স্তম্ভিত হয়ে যান শিক্ষিকা। লক্ষ্য করেন, এক ছাত্রীর মোবাইল থেকে পোস্ট করা হয়েছে একটি পর্ন ভিডিও। তখনই ক্লাস বন্ধ করে তিনি ঘটনাটি প্রধান শিক্ষিকাকে জানান। প্রধান শিক্ষিকা যোগাযোগ করেন হাওড়া পুলিশের সাইবার ক্রাইম থানার সঙ্গে। এখন ওই ছাত্রীর কাউন্সেলিং চলছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।পরপর করোনা ঢেউয়ের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ঝুঁকি নিতে পারছে না সরকার। তাই ‘‍নিউ নর্মাল’ জীবনে পড়াশোনা পুরোটাই ইন্টারনেট ও স্মার্টফোন নির্ভর। অল্পবয়সী শিক্ষার্থীদের হাতে স্মার্টফোন দেয়ায় ঝুঁকি কতটা, তা জেনেও নিরুপায় হয়েই ছোটদের হাতে তুলে দিতে হচ্ছে স্মার্টফোন। তবে অল্পবয়সী শিক্ষার্থীদের হাতে স্মার্টফোন দিলেই হবে না। তাদের প্রতিনিয়ত নজরদারির আওতায় রাখতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনও একই ধরনের কথা বলছেন। কমিশনের সদস্য সুদেষ্ণা বসু বলেন, ইন্টারনেট এখন অপরিহার্য। কিন্তু একই সঙ্গে জানতে হবে, ইন্টারনেট ব্যবহার করে কিভাবে সাইবার ক্রাইম হয়। এ বিষয়ে আমরা প্রতিনিয়ত শিশু-কিশোর-কিশোরীদের কাউন্সেলিং করছি। সচেতনতামূলক একটি গান তৈরি হয়েছে। ভিডিওর মাধ্যমে সেটি ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে জেলায় জেলায়। আমাদের লক্ষ্য, কিশোর-কিশোরীরা যেন ইন্টারনেটের অপব্যবহার সম্পর্কে সচেতন হয়। এই কাজটি করতে হবে অভিভাবকদেরই।

Share.