টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউ ওয়ার্ডে আগুন

0

ঢাকা অফিস: টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের আইসিইউ ওয়ার্ডে আগুন লেগে পুড়ে গেছে যন্ত্রাংশসহ কয়েকটি বেড। তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এ সময় রোগী ও তাদের স্বজনদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে আইসিইউতে থাকা মুমূর্ষু রোগীদের অক্সিজেন সংকট দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় অক্সিজেন সংকটে একজন রোগী মারা গেছে বলে তার স্বজনরা অভিযোগ করলেও জেলা সিভিল সার্জন তা অস্বীকার করেছেন।ফায়ার সার্ভিস জানায়, বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটে অক্সিজেন সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে বেডে থাকা ১০ রোগীকে নিরাপদে বের করে আনা হয়। আইসিইউ বেডের রোগীদের সাধারণ ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। সেখানেই তাদের চিকিৎসা চলছে।আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এরইমধ্যে আগুনে পুড়ে যায় ৩ থেকে ৪টি বেডসহ আইসিইউয়ের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ। ফলে এখনই আইসিইউ সচল করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন আইসিইউতে চিকিৎসারত রোগীরা। ধীরে ধীরে এসব রেগীরা অক্সিজেন সংকটে অসহায় হয়ে পড়ছেন।রোগীর স্বজনরা জানান, হঠাৎ করে আইসিইউতে একটি শব্দ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই কালো ধোয়ায় পুরো ইউনিট ছেয়ে যায়। পরে হাসপাতালে থাকা অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জাম দিয়েও আগুন নেভানোর চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে দ্রুত তাদের উদ্ধার করেছেন। এ সময় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো হাসপাতাল জুড়ে।রোগীর স্বজনরা জানান, আইসিইউতে ভর্তি রোগীদের জেনারেল বেডে স্থানান্তর করা হলেও অক্সিজেনের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।টাঙ্গাইল ফারার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক জানান, আমরা খবর পেয়ে দ্রুত হাসপাতালে চলে আসি। সব রোগীদের নিরাপদে বের করতে পেরেছি। ৩টি ইউনিট একসঙ্গে কাজ করায় দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, অক্সিজেন সিলিন্ডার থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গণি বলেন, আগুনের ঘটনায় কোনো রোগীর ক্ষতি হয়নি। আইসিইউ ওয়ার্ডে দশজন রোগী ছিলেন। তাদের দ্রুত সরানো হয়েছে।তিনি আরও বলেন, আমরা ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে।এদিকে জেলা সিভিল সার্জন আবুল ফজল মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বলেন, রোগীদের সরিয়ে দ্রুত অন্য ওয়ার্ড স্থানান্তর করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে আইসিইউ বন্ধ রয়েছে। আমরা যত দ্রুত সম্ভব আইসিইউ ওয়ার্ড প্রস্তুত করব। এ জেনারেল হাসপাতালে বেড রয়েছে ১০টি। প্রত্যেকটি বেডেই রোগী ছিল।

Share.