ঢাকা অফিস: পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশু পরিবহনের জন্য ‘ক্যাটল স্পেশাল’ সার্ভিস চালু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এই সার্ভিসের আওতায় রোববার (১৮ জুলাই) ভোর রাত থেকে ঢাকায় আসতে শুরু করেছে কোরবানির পশু। এদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তিনটি পণ্যবাহী ট্রেনে করে সহস্রাধিক কোরবানির পশু ঢাকায় এসেছে। এর মধ্যে আট শতাধিক গরু ও দুই শতাধিক ছাগল রয়েছে।উত্তরের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর, জামালপুর ও ময়মনসিংহ থেকে তিনটি ট্রেনে আট শতাধিক গরু ও দুই শতাধিক ছাগল ঢাকায় আসে। ঢাকায় আনতে গরুপ্রতি খরচ পড়ছে ৫৮০ টাকা টাকা। আর ছাগল ও ভেড়ার ক্ষেত্রে ভাড়া লাগছে ২৯৬ টাকা।এদিকে অল্প খরচে ঢাকায় পশু আনতে খুশি খামারি ও ব্যবসায়ীরা। কোনো যানজট ছাড়াই নির্বিঘ্নে ঢাকায় এসে সময়মতো হাট ধরতে পেরে সন্তুষ্ট তারা।এই স্পেশাল ট্রেন চালুর ফলে সড়কপথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার ভোগান্তি দূর হওয়ার পাশাপাশি কোরবানির পশু ছিনতাই ও ট্রাকে চাঁদাবাজি থেকে রক্ষা পেয়েছেন বলে জানান বেপারীরা।ঢাকায় কোরবানির পশুর চাহিদা পূরণে গত বছর থেকে রেলওয়ে এই বিশেষ সার্ভিস পরিচালনা করে আসছে। সামনের বছরগুলোতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে জানান কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার।তিনি বলেন, গতবারের তুলনায় এবার আমাদের প্রচারণা ভালো হয়েছে। এ কারণে আমরা ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। খামারি ও ব্যবসায়ীরা অল্প খরচে ঢাকায় পশু আনতে পারলে তারা বেশি লাভবান হবে। তাদের কথা চিন্তা করে আগামীতেও আমাদের এই সার্ভিস অব্যাহত থাকবে।এর আগে শনিবার (১৭ জুলাই) রাজশাহী স্টেশন থেকে এই ট্রেনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ। এদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ হতে ছেড়ে আসে ট্রেন।রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে চারটি ওয়াগনে মোট ৮০টি গরু, রাজশাহী স্টেশন থেকে ১টি ওয়াগনে ২০টি গরু এবং বড়াল ব্রিজ স্টেশনে ১টি ওয়াগনে ১০০টি ছাগল বুক হয়েছে। ভাড়া আদায় হয়েছে ৬৮ হাজার ৩৮০ টাকা।দেওয়ানগঞ্জবাজার স্টেশন ও ইসলামপুর স্টেশন হতে মোট ৭৩৬টি গরু ও ২০টি ছাগল বুক করে ‘ক্যাটল স্পেশাল’ ট্রেনে পরিবহন করা হচ্ছে।কোরবানির আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। লকডাউন শিথিল করায় দেশের বিভিন্ন স্থানে জমে উঠেছে পশুর হাট। তবে হাটে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত।
৩ ট্রেনে এল সহস্রাধিক কোরবানির পশু
0
Share.