মূল পেশা গরু ডাকাতি

0

ঢাকা অফিস: মূল পেশা গরু ডাকাতি। টার্গেট খামার এবং ট্রাকবোঝাই গরু। ডাকাত চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ বলছে, তাদের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত অন্তত ১০টি জেলায়। সদস্য সংখ্যা ১০ থেকে ১২ জন।রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে রাইড শেয়ার সার্ভিসে যাত্রী হয়ে ওঠা ব্যক্তি চালক রিয়াজকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। বেধড়ক পিটিয়ে তাকে ফেলে দেওয়া হয় গাজীপুরের ভবানীপুরে। কথিত যাত্রী নিয়ে যায় তার মোটরসাইকেলটিও।এ ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ সন্ধান পেয়েছে একটি ডাকাত চক্রের। পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, তারা মূলত আন্তঃজেলা গরু ডাকাত চক্রের সদস্য। যাত্রী হয়ে রাইড শেয়ার সার্ভিসের নামে ডাকাতি করলেও তাদের মূল পেশা গরু ডাকাতি। ডাকাতির কাজে ব্যবহার করা একটি বড় পিকআপ ভ্যানও তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।চক্রটিতে সদস্য সংখ্যা ১০ থেকে ১২ জন। তিনটি ধাপে কাজ করে তারা। চার থেকে পাঁচজনের একটি দল সরাসরি গরু ডাকাতি করে। দ্বিতীয় ধাপে ডাকাতি করা গরু তুলে দেয় আরেকটি দলের কাছে। এ দলটিতে থাকে ৩ থেকে ৪ জন। তৃতীয় ধাপে গরু তুলে দেওয়া হয় ব্যাপারীদের কাছে। ব্যাপারীরাও তাদেরই দলভুক্ত।ঢাকা মহানগরের (উত্তরা বিভাগ) গোয়েন্দ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কায়সার রিজভী কোরায়েশী বলেন, বাজার পর্যায়ে ব্যাপারীদের সঙ্গে তাদের আঁতাত রয়েছে। ব্যাপারীরাও জানে এটা ডাকাতির গুরু। পরে সহজমূল্যে এটা কিনে নেয় এবং হাসিলের মাধ্যমে বাজারের বৈধভাবে বিক্রি করে।পাবনা, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইলসহ আশপাশের কয়েকটি জেলা থেকে গরু ডাকাতি করে তারা নরসিংদীর কয়েকটি হাটের ব্যাপারীদের কাছে তুলে দেয়। পুলিশ বলছে, পুরো নেটওয়ার্কটি শনাক্ত করতে পেরেছেন জানিয়েছেন উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার কাজী শফিকুল ইসলাম।কোরবানির হাটে আসা গরুবোঝাই ট্রাক ডাকাতির পরিকল্পনা ছিল তাদের।

Share.