স্পোর্টস ডেস্ক: লিওনেল মেসির ক্লাবের সাজঘরে শোভা পাচ্ছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ছবি। রোনালদো-মেসি ভক্তরা অবাক হলেও এটাই সত্য। কিন্তু কেন?গত অক্টোবরে কোভিড আক্রান্ত হন পর্তুগিজ সুপারস্টার রোনালদো। তিনি অন্যতম তারকা খেলোয়াড়, যিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। আর করোনা নিয়ে নিজের ফুটবলারদের সতর্ক করতে সাজঘরে রোনালদোর ছবি টানিয়ে রাখার উদ্যোগ নেয় বার্সেলোনা।স্পেনের সংবাদমাধ্যম এএস জানিয়েছে, বার্সেলোনা তাদের ফুটবলারদের বারবার মনে করিয়ে দিতে চাইছে, সবরকম সাবধানতা মেনে চললেও যে কোনো সময়ে যে কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। মেসিরাও তার ব্যতিক্রম নন। তাই রোনালদোর করোনা আক্রান্ত হওয়ার ছবি লাগিয়ে মেসিদের সতর্ক করা হচ্ছে।করোনা মহামারির শুরু থেকেই আক্রান্তদের পাশে ছিলেন সিআর সেভেন। আর্থিক সহায়তা ছাড়াও বিভিন্নভাবে করোনা আক্রান্তদের পাশে ছিলেন এই পর্তুগিজ তারকা। শুধু তাই নয়, মেসি এবং রোনালদো মিলে ১০ লাখ করে ইউরো দান করেছিলেন। তাদের সহায়তায় পর্তুগালের দুটি হাসপাতালে তিনটি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) তৈরির কাজ করা হয়।এদিকে, করোনা হওয়ার জন্য গত মৌসুমে মেসির মুখোমুখি হতে পারেননি পর্তুগিজ তারকা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মেসির বার্সেলোনার মুখোমুখি হয়েছিল রোনালদোর য়্যুভেন্তাস। ওই ম্যাচে সিআর সেভেন না থাকার পুরো সুবিধা নিয়েছিল বার্সা। তারা ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল য়্যুভেন্তাসকে। বার্সার বিপক্ষে ফিরতি ম্যাচে সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরেছিলেন রোনালদো। তার জোড়া গোলে তুরিনের বুড়িরা ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল মেসিদের। রোনালদোর দুটি গোলই আসে পেনাল্টি থেকে।সম্প্রতি বেলজিয়ামের কাছে হেরে রোনালদোর দল বাদ পড়ে ইউরোর দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই। তবু গ্রুপ পর্বে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়ে ৫ গোল করেছিলেন পর্তুগিজ তারকা।আর ৪ গোল করা ইংল্যান্ডের অধিনায়ক কেইন দলকে নিয়ে এসেছিলেন ফাইনালে। তবে ওয়েম্বলির ৬০ হাজার মানুষের প্রার্থনা বৃথাই গেল। আরও একবার ব্যর্থ মনোরথে নিজ ঘর থেকে ফেরে ইংলিশরা। পাশাপাশি নিষ্প্রভ ছিলেন অধিনায়ক নিজেও। ফলে ফাইনালে কোনো গোল করতে না পারায় নিশ্চিত হয়ে যায় রোনালদোর গোল্ডেন বুট জেতা।টুর্নামেন্টে রোনালদোর সমান ৫ গোল করেন চেক প্রজাতন্ত্রের প্যাট্রিক চেকও। তবে রোনালদো এগিয়েছিলেন অ্যাসিস্ট করার কারণে। রোনালদোর নামের পাশে একটি অ্যাসিস্টও থাকলেও শিকর নামের পাশে কোনো অ্যাসিস্ট ছিল না।গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে হাঙ্গেরির বিপক্ষে দুই গোল, জার্মানির বিপক্ষে একটি এবং ফ্রান্সের বিপক্ষেও দুই গোল করেন রোনালদো। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচেই ৫ গোল করে ফেলেছিলেন সিআর সেভেন। দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে বেলজিয়ামের বিপক্ষে রোনালদো গোল করতে ব্যর্থ হলে বিদায় নেয় তার দল।শুধু তাই নয়, ১৪ গোল করে এবারই ইউরোর ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ড গড়েন সিআর সেভেন। এই টুর্নামেন্ট খেলার পথে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ইরানের আলি দাইয়ির ১০৯ গোলের রেকর্ডও স্পর্শ করেন পর্তুগালের অধিনায়ক।
মেসিদের সতর্ক করছে রোনালদোর ছবি
0
Share.