ঢাকা অফিস: অসুস্থতার কারণে ব্যক্তিগত চিকিৎসকের পরামর্শে গাড়িতে বসেই যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি মডার্নার তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা।সোমবার (১৯ জুলাই) বিকেল ৪টায় ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের পরীক্ষা শেষে রাজধানীর গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নেন খালেদা জিয়া। করোনামুক্ত হওয়ার ২ মাস ১৩ দিন পর টিকা নেন বিএনপি চেয়ারপারসন।বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন হাসপাতালে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, টিকার ব্যাপারে উনার কোনো চয়েজ নেই, এখানে মর্ডানা দেওয়া হচ্ছে, সেই টিকাই তিনি দিয়েছেন।এছাড়া খালেদা জিয়া দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন এবং দেশবাসীকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলে জানান অধ্যাপক জাহিদ।এর আগে বেলা সাড়ে ৩টায় গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’ থেকে ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের গাড়িতে চড়ে তিনি হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা সে সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন।কেন্দ্রে যাওয়ার আগে থেকেই পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয় সব ধরনের প্রস্তুতি। হাসপাতালে আনা-নেওয়ার পথে নিরপাত্তার জন্য বাড়ানো হয় পুলিশ সদস্যের সংখ্যা।এর আগে গত ৯ জুলাই ‘সুরক্ষা’ ওয়েবসাইটে টিকার জন্য নিবন্ধন ফরম পূরণ করেন খালেদা জিয়া। ৯ দিন পর টিকা নেওয়ার নির্ধারিত তারিখ উল্লেখ করে তাকে এসএমএস দেওয়া হয়।গত ১৪ এপ্রিল খালেদা জিয়ার শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। প্রথমে বাসায় থেকেই চিকিৎসা নেন তিনি। পরে নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে গত ৯ মে তার করোনা পরীক্ষায় ‘নেগেটিভ’ আসে। তারপরও শারীরিক সমস্যা থাকায় প্রায় দেড় মাস তাকে হাসপাতালে থাকতে হয়।সেখানে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। শ্বাসকষ্টের কারণে মাঝে কিছুদিন তাকে সিসিইউতেও রাখা হয়।৫২ দিনের চিকিৎসা শেষে ১৯ জুন রাতে গুলশানের বাসা ফিরোজায় ফেরেন তিনি। এতদিন বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি। দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বেগম জিয়া গত বছরের ২৫ মার্চ শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি পান। এরপর তার মুক্তির মেয়াদ তিন দফা বাড়ানো হয়।
গাড়িতে বসেই টিকা নিলেন খালেদা জিয়া
0
Share.