সারা দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা

0

ঢাকা অফিস:  ত্যাগের মহিমায় আজ বুধবার (২১ জুলাই) দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদের নামাজ শেষে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি করবেন সামর্থ্যবান মুসলমানরা।মুসলিম জাতির পিতা হজরত ইবরাহিম আ. এর ত্যাগের স্মৃতিবিজড়িত এই ঈদ। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য প্রয়োজনে নিজের প্রিয় বস্তুকে কোরবানি দেয়াই হলো এই ঈদের আদর্শ। কোরবানি মানব ইতিহাসের সূচনাকাল থেকে চলে আসা একটি ইবাদত; যা মূলত স্রষ্টার উদ্দেশে সৃষ্টির নজরানা। কোরবানি শব্দের অর্থ ত্যাগ, আত্মোত্সর্গ; নৈকট্য লাভ। পরিভাষায় কোরবানি হলো, জিলহজ মাসের ১০ তারিখ সকাল থেকে ১২ তারিখ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট পশু জবাই করা।মানব ইতিহাসের প্রথম কোরবানিদাতা হলেন আদি পিতা হজরত আদম (আ.)-এর পুত্র হাবিল (রা.) ও কাবিল। এরপর মহান আল্লাহ হজরত ইব্রাহিম আ. কে পরীক্ষা করার জন্য তার প্রিয় পুত্র ইসমাইল আ. সা. কে কোরবানি দেওয়ার নির্দেশ দেন। আল্লাহর নির্দেশ পালনের জন্য ইব্রাহিম আ. প্রিয় পুত্রকে কোরবানির উদ্দেশ্যে গলার ছুরি চালালে আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে একটি পশু কোরবানি হয়। এ ঘটনার পর থেকেই শেষ নবী হজরত মুহম্মদ সা. এর উম্মতরা এ আদর্শ অনুসরণ করে আসছেন।পবিত্র ঈদুল আজহা পালনের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সামর্থ্যবান মুসলিমরা তাদের পছন্দের পশুটি কিনে ফেলেছেন। করোনার ভয় থাকলেও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে তারা সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন।ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসী ও সারাবিশ্বের মুসলমানদের শুভেচ্ছা জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে মুসলিম উম্মাহর অব্যাহত শান্তি, সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনা করা হয়েছে।এদিকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের নামাজ আদায়ে নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। ধর্ম মন্ত্রণালয়ে নির্দেশনা অনুসারে রাজধানীসহ সারাদেশের মসজিদগুলোতে সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।ঈদুল আজহায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হয় পাঁচটি ঈদ জামাত। সকাল ৭টায় হয় প্রথম জামাত। এরপর পর্যায়ক্রমে ৮টা, ৯টা, ১০টা এবং ১০টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হয় শেষ জামাত। এছাড়া নগরবাসীদের নিজ নিজ বাসার কাছে মসজিদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ পড়তে হবে।পরিবারের সঙ্গে ঈদ পালনে ইতোমধ্যে ঢাকা ছেড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। যে যেভাবে পেরেছেন রাজধানী ছেড়েছেন। ঈদ যাত্রায় বাস, ট্রেন ও লঞ্চে ছিল যাত্রীর প্রচুর ভিড়।

Share.