ঢাকা অফিস: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তার ব্যক্তিগত দুই চিকিৎসককে অনুমতি দেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। সোমবার বাংলাদেশ সময় দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। রিজভী বলেন, ‘আপনারা দেখে আসছেন যে, দখলদার আওয়ামী সরকার শুধু প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী ও গণতন্ত্রের কণ্ঠস্বর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারারুদ্ধ রেখে বিনা চিকিৎসায় হত্যার চক্রান্ত করছে। গুরুতর অসুস্থ দেশনেত্রীর কী চিকিৎসা হচ্ছে, এটি কেউ জানতে পারছে না।’ ‘একেতো আগের মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত বদলে সরকারি দলের সমর্থক ডাক্তারদের দিয়ে তৈরি করে বানোয়াট রিপোর্ট আদালতে পেশ করা হয়েছে। তার ওপর বেগম জিয়ার নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডাক্তার শামীম ও ডাক্তার মামুনকে অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। বিনা চিকিৎসায় তার জীবনকে বিপন্ন করার কলা-কৌশল হচ্ছে কি না, এজন্য জনগণ উদ্বিগ্ন’,- যোগ করেন তিনি। বিএনপির এই নেতা বলেন, বেগম জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে এক ধরনের ‘মেডিকেল টেরোরিজম’ কায়েম করেছে সরকারের নির্দেশে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ। আমরা বেগম জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার জোর দাবি জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ৩০ ডিসেম্বর গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে ঢাকাসহ দেশব্যাপী প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে ঢাকাসহ সারা দেশের নেতাকর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করবেন। কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশের দলীয় কার্যালয়গুলোতে কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। তিনি আরও বলেন, ঢাকায় আমরা সমাবেশের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দুটি জায়গা চেয়ে চিঠি দিয়েছি। একটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অন্যটি নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে। যেকোনো একটি স্থানে আমরা সমাবেশ করব। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারেফ হোসেন প্রমুখ।