ঢাকা অফিস: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ডিজিটাল সেবার কারণেই দেশের মানুষের জীবন অনেক সহজ হয়েছে। ডিজিটাল দেশ হিসেবে আজকের অগ্রগতির প্রতিটি ধাপেই রয়েছে সজীব ওয়াজেদ জয়ের অবদান।মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উদযাপন ও জনপ্রশাসন পদক প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ তার জীবনেও এক বিশেষ দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনেই জয়ের জন্ম ও আজ ৫১ বছর বয়স হলো।জয় নামটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেখেছিলেন উল্লেখ করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, করোনার কারণে এ দিনটিতে পরিবারের সবাই একত্রিত হতে পারলাম না।এ সময় প্রধানমন্ত্রী সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মের সময় দেশের দুঃসময়, বেড়ে ওঠা ও বিদেশে পড়াশোনার বিষয়গুলোতে স্মৃতিচারণা করেন।তিনি বলেন, ১৯৯১ সালে কম্পিউটার কেনা হয় চড়া দামে। তখনই সজীব ওয়াজেদ জয় কম্পিউটারসহ এসব যন্ত্রপাতির ওপর থেকে আমদানি শুল্ক তুলে দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, এটি সবার কাছে সহজলভ্য করতে হবে, প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে এ পর্যন্ত ধাপে ধাপে যত কাজ করা হয়েছে, সবগুলোই জয়ের পরামর্শে করা হয়েছে।তিনি বলেন, আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা ও দেশের তরুণ সমাজকে উদ্বুদ্ধ করার ক্ষেত্রে সজীব ওয়াজেদ জয় ও রেদোয়ান সিদ্দিকসহ অনেকে উদ্যোগ নিয়ে কাজ করেছেন।এ সময় বিজ্ঞান প্রযুক্তির যুগে বিশ্বের নানা পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেন সরকার প্রধান।প্রসঙ্গত, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় আজ পা রাখলেন ৫১ বছরে।যুদ্ধের দামামার মাঝেই ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়া ও শেখ হাসিনা ঘর আলো করে জন্ম নেয় ফুটফুটে এক শিশু। পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয়ের পর নানা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রিয় দৌহিত্রের নাম রাখেন জয়।‘জয়’ দিয়ে জীবনের শুরু হলেও শৈশবেই তাকে হতে হয় কঠিন নিষ্ঠুরতার মুখোমুখি। ৭৫-এ ঘাতক দলের নির্মম বুলেটে নানা-নানীসহ ছিন্নভিন্ন হয় যায় পুরো পরিবার। ৭৫ পরবর্তী লন্ডন হয়ে মায়ের সঙ্গে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকেন ভারতে। পড়াশোনা করেন বিশ্বের প্রসিদ্ধ সব বিদ্যাপীঠে। নিজেকে গড়ে তোলেন একজন প্রতিষ্ঠিত কম্পিউটার প্রকৌশলী হিসেবে।জীবনের বড় একটি সময় প্রবাস জীবন-যাপন করলেও দেশ ভাবনা থেকে কখনো পিছপা হননি বঙ্গবন্ধু দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। ২০১৪ সালে দায়িত্ব নেন মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবৈতনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বিষয়টি নিয়ে আসেন তিনি। পর্দার অন্তরালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে গোটা দেশে তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লব ঘটান এই তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ।মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হাইটেক পার্ক নির্মাণ, ফোর-জি চালু, ইন্টারনেটের দাম কমানো, কম্পিউটারের শুল্কমুক্ত আমদানি, ফ্রিল্যান্সিংয়ে উৎকর্ষ সাধনসহ অনলাইনে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে সজীব ওয়াজেদ জয়ের অবদান অনন্য। যার সুফল আজ ভোগ করছে কোটি বাঙালি। কেননা করোনা মহামারিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থমকে গেলেও তথ্য প্রযুক্তিতে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ পাচ্ছে বাড়তি সুবিধা।সজীব ওয়াজেদ জয় মনে করেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের পথে বাংলাদেশ হতে চলেছে আগামীর নেতা। যার নেতৃত্বে থাকবে দেশের তরুণ প্রজন্ম। আর তাই তরুণ উদ্যোক্তা ও নেতৃত্বকে একসঙ্গে যুক্ত করার পাশাপাশি প্রশিক্ষিত করতে বৃহত্তম প্ল্যাটফরম ‘ইয়াং বাংলার’ সূচনা হয় সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বেই।শ্রমনির্ভর অর্থনীতিকে প্রযুক্তিনির্ভর করে তুলতে জাতীয় পর্যায়ে চলমান কর্ম-প্রয়াসের কেন্দ্রবিন্দুতে সজীব ওয়াজেদ জয়। যার নেতৃত্বে দেশের উত্তরণ ঘটেছে অফলাইন থেকে অনলাইনে। প্রযুক্তির বরপুত্র, ডিজিটাল বাংলাদেশের এই রূপকারের হাত ধরেই আরও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। এগিয়ে যাবে তারুণ্য।২০১৩ সালে সেপ্টেম্বর মাসে ‘সময় সংবাদ’কে দেওয়া সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিশেষ সাক্ষাৎকার প্রচারিত হবে মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) ‘সম্পাদকীয়’ অনুষ্ঠানে। রাত ১০টায়।
ডিজিটাল অগ্রগতিতে জয়ের অবদান রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
0
Share.