খরার তীব্রতায় ধানের জমি ফেটে চৌচির

0

ঢাকা অফিস: শস্য ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত উত্তরের জনপদ দিনাজপুর। এবার খরার তীব্রতায় রোপা আমন ধানের জমি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। রোদে পুড়ে বিবর্ণ হয়েছে রোপা আমন ধানের চারাগুলো।শনিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে সরেজমিন হাকিমপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ফসলের মাঠ ঘুরে রোপা আমন ধানের জমিতে এমন চিত্র চোখে পড়েছে।হাকিমপুর উপজেলার ১নং খট্রামাধবপাড়া ইউনিয়নের লোহাচড়া গ্রামের কৃষক খাইরুল ইসলাম জুয়েল  জানান, বর্ষা মৌসুমে আমন ধান চাষ করা হয়। এ মৌসুমে বৃষ্টির পানি থাকায় ধান চাষে সেচের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু এ বছর চাহিদা অনুযায়ী বৃষ্টি নেই। ফলে আমন ধানের ক্ষেত ফেটে যাচ্ছে। বৃষ্টির পানিতে রোপা আমন ধানের ফলন ভালো হয়। কিন্তু এ বছর চাহিদা অনুযায়ী বৃষ্টি না হওয়ায় শ্যালো মেশিন ও বৈদ্যুতিক মোটর চালিয়ে জমিতে সেচ দিতে হচ্ছে।হাকিমপুর উপজেলার ২নং বোয়ালদাড় ইউনিয়নের হাতিশোঁ গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, পানির ভয়াবহ সংকট সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানি না থাকায় জমি ফেটে যাচ্ছে। অথচ আর্থিক সংকটে তিনি জমিতে সেচ দিতে পারেননি। পানির অভাবে ধান গাছ বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে উঁচু জমিগুলোতে পানি নেই। এমনকি পানির অভাবে কিছু জমি এখনো রোপণ করা সম্ভব হয়নি।হাকিমপুর উপজেলার ৩নং আলীহাট ইউনিয়নের কৃষক আব্দুর রহিম আরটিভি নিউজকে জানান, ফসলের ক্ষেত ফেটে চৌচির হওয়ায় জমির ফসল নিয়ে উদ্বিগ্ন। শ্যালো মেশিন কিংবা বৈদ্যুতিক মোটর চালিয়ে রোপা আমন আবাদ উপযোগী নয়। বৃষ্টির পানিতে রোপা আমন চাষ ভালো হয়। কিন্তু পানির অভাবে অনেকে জমিতে আমন ধান লাগানো যাচ্ছে না।হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. মোছা. মমতাজ সুলতানা জানান, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায় ৮ হাজার ১২৬ হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৬ হাজার ৭৮০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন কৃষকরা। তবে পানির অভাবে অধিকাংশ ধানক্ষেত ফেটে চৌচির হয়েছে। প্রচণ্ড তাপদাহে ধান গাছ বিবর্ণ হচ্ছে। কোথাও কোথাও কৃষক শ্যালো মেশিন বা বৈদ্যুতিক মোটরের মাধ্যমে রোপা আমন ধানের জমিতে সেচ দিচ্ছেন।তিনি আরও জানান, পানির অভাবে অনেকেই জমিতে ধানের চারাগুলো রোপণ করতে পারছে না। আমরা কৃষি অফিস থেকে দুই একদিনের মধ্যেই সেচের ব্যবস্থা করবো।

Share.