বিশ্বজুড়ে মারাত্মক বন্যার কবলে শরণার্থীরা

0

ডেস্ক রিপোর্ট: করোনা মহামারির মধ্যে বিশ্বে প্রলয়ঙ্করী হয়ে উঠেছে ভারি বর্ষণ আর বন্যা। এতে বিশ্বজুড়ে বাস্তুচ্যুত মানুষেরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।দমকা হাওয়া, মৌসুমী বৃষ্টিপাত ও টাইফুনে বিপর্যস্ত এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। অন্যদিকে ল্যাটিন আমেরিকা ও আফ্রিকার কিছু অংশে বন্যা ও বৃষ্টি দেখা দিয়েছে।আফগানিস্তানে তালেবান বলছে, পূর্বাঞ্চলীয় নুরিস্তান প্রদেশে বন্যার কারণে ১৫০ জন নিহত হয়েছে। গোষ্ঠীটি জনগণের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে।প্রাদেশিক সরকার উদ্ধারকাজের অনুমতি দেওয়ার জন্য প্রবেশাধিকার চেয়েছিল। কিন্তু তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, তারা তাদের নিজস্ব উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে। বেশি ক্ষতি হয়েছে মেরদেশ গ্রামে। সেখানে ২০০টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে।অন্যদিকে মিয়ানমারে ৫০ হাজার মানুষ ভারি বর্ষণের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। তাদের মধ্যে কিছু মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হলেও বেশিরভাগই দুর্ভোগে রয়েছে।এছাড়া ১০ লাখ রোহিঙ্গার আশ্রয়দাতা বাংলাদেশেও ভারি বর্ষণ ও ভূমিধসে ছয়জন শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া পাঁচ হাজার রোহিঙ্গা ঘর হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা।নরওয়ের শরণার্থী কাউন্সিল বলছে, বাংলাদেশের উখিয়া ও টেকনাফে ভারি বৃষ্টিপাতে ১৩ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।গত সপ্তাহে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় টাইফুন আঘাত আনে। দেশটি বন্যার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। থাইল্যান্ডে নদীর তীর ভেঙে কিছু এলাকায় ২০০ পরিবার বাস্ত্যুচুত হয়েছে।কলম্বিয়ায় বন্যার কারণে শরণার্থীদের সহায়তা বন্ধ হয়েছে। দেশটির আবহাওয়া সংস্থা ঘোষণা করেছে যে বৃষ্টিপাত আরও ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।গত ২৩ জুলাই কোস্টারিকায় দুজন ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে মারা গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিভিন্ন স্থাপনা। দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জুলাইয়ে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে। তিন হাজার লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।এছাড়া পানামায় গত ২৩ জুলাই থেকে ২৭ হাজার লোক বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে একজন।রেডক্রস জানিয়েছে, আগামী হারিকেন মৌসুমে বৃষ্টিপাত আরও বাড়বে। এছাড়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুদান ও নাইজেরিয়াও।  ভারতের মহারাষ্ট্রেও ভারি বর্ষণে ২০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

Share.