উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ৫ উপায়

0

লাইফস্টাইল ডেস্ক: উচ্চ রক্তচাপ একটি নীরব ঘাতক হিসেবে পরিচিত। বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ এ সমস্যায় ভুগছেন। হৃৎপিণ্ডের ধমনীতে রক্ত প্রবাহের চাপ অনেক বেশি থাকলে সেটিকে উচ্চ রক্তচাপ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি অঙ্গে জটিলতা তৈরি হওয়ার আশংকা থাকে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উচ্চ রক্তচাপের ফলে হার্টের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। স্ট্রোক ও হৃদরোগের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। একবার উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হলে, এর থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া বেশ কঠিন। তবে রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের অসংখ্য উপায় রয়েছে। ওষুধ ছাড়াও বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপায়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। দেখে নিন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের পাঁচটি উপায়।

অ্যালকোহল-ধূমপান কমানো 
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়িয়ে দেয় সিগারেট এবং অ্যালকোহল। নিকোটিন এবং অ্যালকোহল উভয়ই সাময়িকভাবে রক্তচাপের মাত্রা বাড়িয়ে রক্তনালীর ক্ষতি করতে পারে। তাই এই দু’টি জিনিস একেবারে ত্যাগ করাই ভালো। শুধু তাই নয়, ধূমপায়ীর সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকুন। তামাক পাতা, জর্দা, গুল লাগানো ইত্যাদি পরিহার করতে হবে।

চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন 
গবেষণায় দেখা গেছে, রিফাইন্ড কার্বস এবং চিনিযুক্ত খাবার উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এই দু’টি খাদ্য সামগ্রীর পরিমাণ হ্রাস করা, স্বাভাবিকভাবেই রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। পাউরুটি এবং সাদা চিনির মতো খাবারগুলো আপনার রক্ত প্রবাহে দ্রুত চিনিতে রূপান্তরিত হয় এবং সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই, উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের লো-কার্ব ডায়েটের পরামর্শ দেওয়া হয়।

সোডিয়াম গ্রহণ কমান 
খাবার লবণে থাকে সোডিয়াম। এটি রক্তের জলীয় অংশ বাড়িয়ে দেয়। ফলে রক্তের আয়তন ও চাপ বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত সোডিয়াম গ্রহণের ফলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দেয়। সোডিয়ামও স্ট্রোকের কারণও হতে পারে। এমনকি সোডিয়াম গ্রহণের দৈনিক পরিমাণে সামান্য হ্রাস উচ্চ রক্তচাপ অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে। তবে সোডিয়াম গ্রহণের প্রভাব ব্যক্তিভেদে ভিন্ন। এছাড়া, সুস্থ জীবনযাপনের জন্যও লবণযুক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া সীমিত করা উচিত।

পটাশিয়াম গ্রহণ বাড়ান 
যারা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন, তাদের জন্য পটাসিয়াম অতি প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। প্রক্রিয়াজাত এবং প্যাকেটজাত খাবার বেশিরভাগই সোডিয়ামে পূর্ণ থাকে এবং এর ভারসাম্যতা বজায় রাখার জন্য ডায়েটে আরও পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যোগ করতে হবে। সবুজ শাকসবজি, টমেটো, কলা, কমলালেবু, মিষ্টি আলু, দুধ, বাদাম, স্যালমন, টুনা, অ্যাভোকাডো, আলু, ইত্যাদি খাবার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।

নিয়মিত শরীরচর্চা করুন 
মানসিক ও শারীরিক চাপ কমাতে হবে। নিয়মিত বিশ্রাম, সময়মতো ঘুমানো, শরীরকে অতিরিক্ত ক্লান্তি থেকে বিশ্রাম দিতে হবে। গবেষণা অনুযায়ী, সুস্থ ও ফিট থাকতে এবং ক্রনিক ডিজিজের ঝুঁকি কমাতে, প্রত্যেক ব্যক্তিকে নিয়মিত ৩০-৪৫ মিনিট ব্যায়াম করতে হবে। যারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য এটি আরও বেশি প্রয়োজনীয়। নিয়মিত ব্যায়াম হার্ট শক্তিশালী করতে পারে, ধমনীর উপর চাপ কমাতে পারে। এছাড়াও, প্রতিদিন ৪০ মিনিট হাঁটাও আপনাকে ফিট রাখতে যথেষ্ট। এক্ষেত্রে সকাল-সন্ধ্যা হাঁটাচলা, সম্ভব হলে দৌড়ানো, হালকা ব্যায়াম, লিফটে না চড়ে সিঁড়ি ব্যবহার ইত্যাদি জরুরি।

Share.