বিনোদন ডেস্ক: গ্রেপ্তারের পর টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছেন ঢালিউড চিত্রনায়িকা পরীমনি। তাকে গ্রেপ্তারের পর নড়েচড়ে বসেছে ঢালিউড। পরীমনির সদস্যপদ স্থগিত করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি।এদিকে পরীমনিকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর বিভিন্ন তথ্য। সেগুলো নিয়ে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরই মধ্যে পুলিশ কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েন শিথিলের সঙ্গে সম্পর্কের খবর পাওয়া গেছে পরীমনির। তার বাসায় ১৮ ঘণ্টা ছিলেন এ নায়িকা। সিসিটিভির ফুটেজেও ধরা পড়েছে বিষয়টি।পুলিশ কর্মকর্তা ছাড়াও উচ্চপর্যায়ের বিভিন্ন ব্যক্তিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল পরীমনির। সে তালিকায় এসেছে টালিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির একাধিক ব্যক্তির নাম। আছেন ২ পরিচালক, ৩ প্রযোজক আর ২ অভিনেতা। যারা বিভিন্ন সময় পরীমনির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করেছেন। র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানিয়েছেন পরীমনি। সূত্র উল্লেখ করে কলকাতার একটি সংবাদমাধ্যম খবর প্রকাশ হওয়ার পর আতঙ্কে আছেন টালিউডের ওই ব্যক্তিরা। বিশ্বস্ত সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র সময় নিউজকে জানান, টালিউডের কয়েকজন উঠতি মডেল, যারা বিভিন্ন সময় বাংলাদেশে গিয়ে কাজ করেছে তারাও এ চক্রের সঙ্গে জড়িত। সূত্র জানায়, কলকাতার ডিভোর্সি দুই নায়িকা গভীর সম্পর্ক রেখেছেন বাংলাদেশের কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গেও। জানা গেছে, পরীমনির দেওয়া তথ্যে ভিত্তিতে কাজ করছেন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যাদের সঙ্গে পরীমনির যোগাযোগ ছিল তাদের সম্পর্কেও খোঁজ নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।গত ৪ চার বছরে বেশ কয়েকটি সিনেমার শুটিং পশ্চিমবঙ্গে করেছেন পরীমনি। বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় দুটি সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন তিনি। সবশেষ একটি বিজ্ঞাপনচিত্রের শুটিংয়ে কলকাতায় গিয়েছিলেন পরী। সেখান থেকেই দুবাই উড়াল দিয়েছিলেন এ নায়িকা। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় চিকিৎসার প্রয়োজনেও কলকাতা অবস্থান করেছেন এ নায়িকা। তখন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের আশীর্বাদ নিয়েছেন তিনি। ভার্চুয়াল ফোনে কলকাতার একটি সূত্র বিষয়টি জানিয়েছেন।
টালিউডের একাধিক ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ ছিলেন পরীমনি!
0
Share.