‘পরিস্থিতি বুঝে’ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

0

ঢাকা অফিস: বিদ্যমান কোভিড পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে শিগগির দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া শিক্ষক, কর্মচারী ও বয়স অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আজ বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব ড. খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।সচিব বলেন, আজ রাজধানীর সচিবদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অংশ নেন।আজকের বৈঠকে একজন ছাড়া সব সচিব অংশ নিয়েছেন বলেও জানান ড. খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি জানান, এদের মধ্যে ১৭ জন সচিব বক্তব্য ও মতামত তুলে ধরেছেন। প্রধানমন্ত্রী ১৩টি বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। ‘করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে আশ্বস্ত করে স্বাস্থ্য সচিব বৈঠকে জানিয়েছেন, মোট ২১ কোটি ভ্যাকসিন পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। করোনার একটা কমফোরটেবল (সুবিধাজনক) চিত্র আসলে যাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয় সে ব্যাপারে শিক্ষাসচিবকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর আগে ১৮ বছরের উপরে সব শিক্ষার্থীকে যাতে টিকা দেওয়া হয়’, যোগ করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব।ড. খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বৈঠকের অন্যান্য এজেন্ডা তুলে ধরে বলেন, ‘দেশে খাদ্য নিরাপত্তা যাতে ব্যহত না হয় এবং দেশের চাহিদা অনুযায়ী যাতে খাদ্যের ঘাটতি না হয় সে ব্যাপারে খাদ্য এবং কৃষিসচিবকে একত্রে কাজ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নিদের্শনা দিয়েছেন। প্রয়োজনে বিদেশে থেকে আমদানি করে হলেও খাদ্যের সরবরাহ ঠিক রাখতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।’ বৈঠকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেইসঙ্গে সরকারের নির্বাচনি ইশতেহার অনুযায়ী সব প্রকল্প গ্রহণের নির্দেশ দেন তিনি।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে মর্যাদাশীল দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করছি। এ দেশকে আমরা অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাব। আমরা এরই মধ্যে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে মর্যাদা পেয়েছি। আমাদের আরও অনেক দূর যেতে হবে। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ব।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা বা ডেলটা প্ল্যান—সেগুলো মাথায় রেখে গৃহীত উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন যেন যথাযথভাবে হয়। কেননা, আমাদের একটাই লক্ষ্য—তৃণমূল পর্যায়ের মানুষগুলো যেন উন্নত জীবন পায়।’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের তো একটাই লক্ষ্য—জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন এবং বাংলাদেশকে তিনি উন্নত সমৃদ্ধ করতে চেয়েছিলেন। আমরা সে লক্ষ্য পূরণে কাজ করছি। আমরা যখন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতার ১০১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করছি, ঠিক সে সময়ে এই সভাটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।’শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, ১৫ আগস্টের সব শহীদ এবং মুক্তিযুদ্ধের সব বীর শহীদ এবং সম্ভ্রমহারা মা-বোনদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা যেন কোনোভাবে ব্যর্থ না হয়। বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাব উন্নত সমৃদ্ধশালী দেশের পথে।’

Share.