ঢাকা অফিস: আমৃত্যু মানুষের কল্যাণে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও ভোলা সদর আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমি কখনও কারও সঙ্গে বেইমানি করিনি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত দেশের মানুষের সেবা করে যেতে চাই।’ বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ভোলা সদরের দক্ষিণ দিঘলদীর কোড়ালিয়া গ্রামে নিজ বাসভবনে মায়ের মৃত্যু দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আজ আমার মায়ের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। আমার মায়ের দোয়ায় আল্লাহ আমার সব আশা-আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ করেছেন। আমি জীবনে বহুবার এমপি নির্বাচিত হয়েছি, কয়েকবার মন্ত্রী হয়ে দায়িত্ব পালন করেছি।’ তিনি অতীতের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘আমার গ্রামের অনেক পরিবার আমাদের চেয়ে অনেক সচ্ছল ছিল। আমি খালি পায়ে হেঁটে স্কুলে গিয়েছি, মানুষের বাসায় লজিং থেকে পড়ালেখা করেছি। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ঠিকমতো বাবা খরচ চালাতে পারেননি। আজ যারা পড়ালেখা করছে, তাদের অনেক খরচ দিতে হয়।’ নিজ এলাকাবাসীর জীবনমান উন্নয়নের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এই গ্রাম একদিন অন্ধকারে ছিল। রাস্তাঘাট, কালভার্ট, বিদ্যুৎ, পুল, ব্রিজ, স্কুল-কলেজ বলতে কিছুই ছিল না। আমি এখানে সবকিছুই করে দিয়েছি। আমার এলাকার মানুষ সবাই এক ও অভিন্ন। তারা ভাবে, আমার কাছে এলেই সবকিছুর সমাধান হবে। কিন্তু সবার আবদার আমি রক্ষা করতে পারি না। অনেককে চাকরি, ব্যবসাসহ নানাভাবে সহযোগিতা করেছি। আজ তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে সুখে আছে। আমার একটি ফাউন্ডেশন আছে। মসজিদ, স্কুল, কলেজ, বৃদ্ধাশ্রম, হাসপাতাল, স্বাধীনতা জাদুঘরসহ আমার যা কিছু আছে সবকিছুই ফাউন্ডেশনের নামে লিখে দিয়ে যাবো।’ তিনি বলেন, ‘আজ মায়ের মৃত্যু দিবস উপলক্ষে আট হাজার মানুষের খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে, সবাই খেয়ে যাবেন। আমার বাবা-মায়ের জন্য দোয়া করবেন। আমি যেন ইজ্জত ও ইমানের সঙ্গে মৃত্যুবরণ করতে পারি সেজন্যও দোয়া করবেন।’
আমি কখনও কারও সঙ্গে বেইমানি করিনি: তোফায়েল
0
Share.