ডেস্ক রিপোর্ট: অতিবৃষ্টির পর নদীর পানি বৃদ্ধি এবং হ্যারিকেন আইডার তাণ্ডবে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আইডার প্রভাবে দেশটির উপসাগরীয় উপকূলে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে। বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটা অন্যতম শক্তিশালী একটি হ্যারিকেন। খবর আল জাজিরার।বিগত কয়েক বছর ধরেই হ্যারিকেনের কারণে খুব একটা ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়তে হয়নি যেসব অঞ্চলে সেসব অঞ্চলেই এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। মেরিল্যান্ড থেকে নিউইয়র্ক পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এই অতিবৃষ্টি, তাৎক্ষণিক বন্যার কারণে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। অতিবৃষ্টির কারণে বেসমেন্ট অ্যাপার্টমেন্ট ডুবে যায়, নদীর পানি রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে যায় এবং রাস্তাঘাট গাড়িগ্রাসী খালে পরিণত হয়।নিউইয়র্কের পুলিশ এবং মেয়র বিল দে ব্লাসিও বলেছেন, ডুবে যাওয়া বেসমেন্টে আটকা পড়ে শহরটিতে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর নিউজার্সিতে অন্তত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজনকে এলিজাবেথের একটি অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পেনসিলভানিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজ্যটিতে অন্তত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মেরিল্যান্ডের একটি রকভাইলে বন্যার পর ১৯ বছর বয়সী এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে।হ্যারিকেন আইডার তাণ্ডবের পর একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রান্সমিশন টাওয়ার উল্টে যাওয়ার পর এবং হাজার হাজার মাইল বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে যাওয়া এবং শত শত সাবস্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় লুইজিয়ানা এবং মিসিসিপির ১০ লাখের বেশি ঘরবাড়ি এবং প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আর নিউ অরলিন্স তো পুরোই অন্ধকারে পতিত হয়েছিল। তবে বুধবার থেকে শহরের বিভিন্ন অংশে বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপন করা হচ্ছে।ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ব্যক্তিদের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এমনকি ক্ষয়ক্ষতি দেখতে শুক্রবার তিনি লুইজিয়ানা যাবেন বলেও জানিয়েছেন বাইডেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, উপসাগরীয় উপকূল যেখানে আমি শুক্রবার পরিদর্শনে যাচ্ছি, সেখানকার লোকদের প্রতি আমার বার্তা, আমরা আপনাদের পাশে আছি এবং যারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের জন্য আমাদের প্রতিক্রিয়া এবং উদ্ধার ন্যায্য হবে এবং তাদের একা ছেড়ে দেবো না।
যুক্তরাষ্ট্রে অতিবৃষ্টি-বন্যায় ৪৫ জনের মৃত্যু
0
Share.