শনিবার, নভেম্বর ২৩

বিশ্বে কমেছে সংক্রমণ, প্রাণহানিতে শীর্ষে রাশিয়া

0

ডেস্ক রিপোর্ট: বিশ্বজুড়ে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও কমেছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রায় ৬ হাজার মানুষ। একই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩ লাখ ৭২ হাজার।সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। অন্যদিকে দৈনিক মৃত্যুতে তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে রাশিয়া। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২২ কোটি ৫৪ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪৬ লাখ ৪৩ হাজার।আজ সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫ হাজার ৮৮৯ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে ১৭০০-র বেশি। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪৬ লাখ ৪৩ হাজার ৬২৩ জনে।একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৭২ হাজার ৩৬৮ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ৭৬ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ কোটি ৫৪ লাখ ৪৮ হাজার ২০১ জনে।এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ হাজার ৪৫০ জন এবং মারা গেছেন ২৫১ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ১৮ লাখ ৫৩ হাজার ৩৬২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৯৮৮ জন মারা গেছেন।অন্যদিকে বিশ্বে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে রাশিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন ৭৮৮ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৮ হাজার ৫৫৪ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭১ লাখ ৪০ হাজার ৭০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৯২ হাজার ৭৪৯ জনের।লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৯২ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৬১৫ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৯ লাখ ৯৯ হাজার ৭৭৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৮৮২ জনের।এদিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২১৯ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ হাজার ৩৭৪ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ৩২ লাখ ৬৩ হাজার ৫৪২ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৪২ হাজার ৯০৭ জন।প্রাণহানির তালিকায় ওপরের দিকেই রয়েছে মেক্সিকোর নাম। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন ৬৭৫ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১২ হাজার ৫১১ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩৫ লাখ ৬ হাজার ৭৪৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৬৭ হাজার ৫৭৪ জনের।গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৮৮ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৭৭৯ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪১ লাখ ৬৭ হাজার ৫১১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮৮৯ জনের।

গত ২৪ ঘণ্টায় ইরানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৮৭ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ২১৯ জন। করোনাভাইরাস মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৫২ লাখ ৯৫ হাজার ৭৮৬ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ১ লাখ ১৪ হাজার ৩১১ জন মারা গেছেন।

এছাড়া এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৬৯ লাখ ৫ হাজার ৭১ জন, যুক্তরাজ্যে ৭২ লাখ ২৬ হাজার ২৭৬ জন, ইতালিতে ৪৬ লাখ ৬ হাজার ৪১৩ জন, তুরস্কে ৬৬ লাখ ৫৮ হাজার ২৫১ জন, স্পেনে ৪৯ লাখ ৭ হাজার ৪৬১ জন এবং জার্মানিতে ৪০ লাখ ৮৭ হাজার ১০৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ১৫ হাজার ৫১৭ জন, যুক্তরাজ্যে ১ লাখ ৩৪ হাজার ২০০ জন, ইতালিতে এক লাখ ২৯ হাজার ৯১৯ জন, তুরস্কে ৫৯ হাজার ৮৮৬ জন, স্পেনে ৮৫ হাজার ২৯০ জন এবং জার্মানিতে ৯৩ হাজার ১২৮ জন মারা গেছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।

Share.