শনিবার, নভেম্বর ২৩

প্রেমিকাকে পালাক্রমে ধর্ষণ: বন্ধুসহ প্রেমিক গ্রেফতার

0

বাংলাদেশ থেকে হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: প্রেমিকাকে গণধর্ষণ করার অভিযোগে বন্ধুসহ প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল মডেল থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- প্রেমিক হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার বড়কান্দি গ্রামের মৃত হুদ খাঁর ছেলে জুয়েল খাঁ (২২) ও তার বন্ধু বরগাঁও গাজী মোকামের মৃত আহম্মদ মিয়ার ছেলে জুনেদ মিয়া (২৬)। শনিবার (৯ অক্টোবর) সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন- বাহুবল মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আলমগীর কবির। এর আগে ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আলমগীর কবিরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ব্যাপক অভিযান চালায়। এ অভিযানে শুক্রবার (৮ অক্টোবর) সকালে ওই দুইজন নবীগঞ্জের বরগাঁও এলাকা থেকে গ্রেফতার হয়। পুলিশ দিনভর চেষ্টা করে দুই আসামির কাছ থেকে ঘটনার সত্যতা পায়। পুলিশের কাছে প্রেমিক জুয়েল খাঁ জানায়- মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ওই কিশোরীর সাথে তার পরিচয়। কয়েক দিন যেতেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একজন আরেকজনকে কাছে পেতে ব্যাকুল হয়ে উঠে। জুয়েল প্রেমিকাকে তার সাথে দেখা করতে সিলেট শহরে আসতে বলে। এতে রাজি হয় প্রেমিকা। ৬ অক্টোবর বিকেল প্রায় ৪টায় জুয়েল পানিউমদা থেকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা পাঠায় প্রেমিকার বাড়ির পাশে। এ সিএনজি করে সে পানিউমদা যায়। সেখান থেকে বাসে করে সে সিলেট পৌঁছায়। সিলেট কদমতলী থেকে জুয়েল ও তার বন্ধু জুনেদ মিলে সিলেট শহরের তালতলা আবাসিক হোটেল সুফিয়ার দ্বিতীয় তলার একটি রুমে নিয়ে কিশোরীকে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরদিন ৭ অক্টোবর সকালে তাকে (কিশোরী) বাসে উঠিয়ে দুপুরে নবীগঞ্জের পানিউমদায় নামিয়ে দিয়ে জুনেদ মিয়া সটকে পড়ে। পরে প্রেমিকের প্রতারণা বুঝতে পেরে বিষয়টি স্বজনকে জানায় ওই কিশোরী। স্বজনরা বিষয়টি বাহুবল মডেল থানা পুলিশকে জানান। বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দিয়ে থানা পুলিশ মামলা গ্রহণ করে। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা করা হয় থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আলমগীর কবিরকে। এ মামলার দায়িত্ব পেয়ে তিনি তাৎক্ষণিক আসামি গ্রেফতার কার্যক্রম শুরু করেন। অবশেষে দুই আসামিকে তিনি গ্রেফতার করেন। ধর্ষণের শিকার আহত কিশোরী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আলমগীর কবির জানান- আসামি গ্রেফতারের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। সিএনজি চালককে পুলিশ গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এ ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

Share.