শনিবার, নভেম্বর ২৩

হামলায় জড়িত সন্দেহে কাশ্মীরে আটক- ৫৭০

0

ডেস্ক রিপোর্ট: ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে কঠোর তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে দেশটির জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। জোড়া মামলায় কাশ্মীরের ১৬টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে এই সংস্থা। সাধারণ মানুষের উপর হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ ৫৭০ জনকে আটক করেছে। তার মধ্যে অনেকেই যুবক। খবর আনন্দবাজারের কথিত আইএন মুখপাত্র ও দ্য রেজিসট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) এর সদস্যদের ধরতে এসব অভিযান চালাচ্ছে এনআইএ’র গোয়েন্দারা। এনআইএ দাবি করেছে, জঙ্গি সংগঠন আইএস এর ভারতীয় মুখপত্র ‘ভয়েজ অব হিন্দ’। ২০২০ এর ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই জঙ্গি সংগঠনটি মাসিক অনলাইন পত্রিকাটি প্রকাশ করছে। কাশ্মীর উপত্যকায় যুবকদের আরও বেশি করে ধর্মীয় মৌলবাদী কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ার নেপথ্যে ওই পত্রিকার প্রবল প্রভাব রয়েছে। সেই সূত্রেই শ্রীনগর, অনন্তনাগ, বারামুলা, কুলগামে অভিযান চালানো হয়েছে। রবিবার এনআইএ অভিযান চালায় আরিপোরা জেওয়ানের বাসিন্দা নাঈম আহমেদ ভাটের বাড়িতে। একটি রাস্তা নির্মাণ সংস্থায় গাড়ি চালকের চাকরি করেন নাঈম। এনআইএ এর দ্বিতীয় গন্তব্য ছিল, বাগি নন্দ সিংহ চট্টওয়ালের বাসিন্দা মুস্তাক আহমেদ দারের বাড়ি। সেখান থেকে মোট ৫টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছেন গোয়েন্দারা। এ ছাড়া উপত্যকার সোলিনা পায়িনের বাসিন্দা সুহেল আহমেদ ভাটের বাড়িতেও তল্লাশি চালায় এনআইএ। বাহাউদ্দিন সাহাব নওহাট্টা নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তার কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ এবং মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে এনআইএ। ক্রীড়া সরঞ্জাম বিক্রির সঙ্গে যুক্ত এক ব্যক্তির বাড়িতেও তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। শুধু ‘ভয়েজ অব হিন্দ’-ই নয়, কাশ্মীর উপত্যকায় ইদানীং সকলের নজরের কেন্দ্রে রয়েছে টিআরএফ। মূলত লস্কর-ই-তইবার শাখা সংগঠন হিসেবে কাশ্মীরে কাজ শুরু করলেও গোয়েন্দাদের দাবি, বর্তমানে হিজবুল মুজাহিদিন ও জইশ-ই-মহম্মদের মতো উপত্যকায় সক্রিয় জঙ্গি দলের সঙ্গেও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে টিআরএফ। তবে ধৃতদের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি।

Share.