বাংলাদেশ থেকে হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাটে অনৈতিক কাজের অভিযোগ তুলে গৃহবধূ মারিয়া আক্তার (২৬) ও শাকিল মিয়া (২০) নামে এক তরুণকে শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। পরে ভুক্তভোগী গৃহবধূ ও তরুণের শিকলবন্ধি কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জেলাজুড়ে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় বুধবার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১১টায় চুনারুঘাট থানায় ৫জনকে আসামিকে মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী মারিয়া আক্তার। এর আগে একই দিন বিকেলে পুলিশ ভুক্তভোগীর স্বামী ভিংরাজ মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। জানা যায়, সোমবার (১১ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১১টায় চুনারুঘাট উপজেলায় কোনাগাঁও গ্রামে এ নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাতে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ এনে ওই গৃহবধূ ও শাকিল নামে এক যুবককে আটক করে মারধর করে ভিংরাজ মিয়ার পরিবার। পরে মঙ্গলবার সকালে দুইজনকে শিকল দিয়ে বেঁধে টেনে-হিঁচরে গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তাদেরকে পরিবারের জিম্মায় দেন। ভুক্তভোগী শাকিলের মা মমিনা খাতুন জানান, তার ছেলে নির্দোষ। তাকে মিথ্যা ঘটনায় জড়ানো হয়েছে। তিনি এ ঘটনার বিচার দাবি করেন। গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর জানান, ছামাদ মিয়া তার পুত্রবধু ও তরুণের বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজের অভিযোগ তুলে আমার এখানে নিয়ে আসেন। পরে দুইজনকে তাদের আত্মীয়ের জিম্মায় দিয়েছি। ছামাদ মিয়ার অভিযোগ সত্য কি না বিষয়টি সামাজিকভাবে বসে খতিয়ে দেখা হবে। বৃহস্পতিবার সকালে চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী আশরাফ বলেন, আমি বিষয়টি ফেসবুকে দেখে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই গৃহবধূর স্বামীকে থানায় আনা হয়েছে। এ ব্যাপারে মারিয়া আক্তার বাদী হয়ে মামলা করেছেন। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে।
চুনারুঘাটে শিকলে বেঁধে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে স্বামী আটক
0
Share.