ডেস্ক রিপোর্ট: দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে চরমে চীন-আমেরিকা দ্বন্দ্ব৷ বেজিংয়ের কড়া পাহারা থাকা সত্ত্বেও, বিতর্কিত জলরাশিতে লাগাতার টহল দিচ্ছে মার্কিন নৌবহর। সংঘাত বাড়ছে তাইওয়ান নিয়েও। এহেন পরিস্থিতিতে এশিয়া-প্যাসিফিকে ঠান্ডা লড়াইয়ের উত্তেজনা ফিরতে পারে বলে আমেরিকাকে হুমকি দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বৃহস্পতিবার এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক সামিটে ভারচুয়ালি বক্তব্য পেশ করেন প্রেসিডেন্ট জিনপিং। আমেরিকার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, ‘এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল আবারও ঠান্ডা লড়াইয়ের পরিস্থিতিতে ফিরে যাক এমনটা হওয়া উচিত নয়। এই টালমাটাল সময়ে আমাদের সকলের উচিত দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়ে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা এবং এগিয়ে চলা।’ বিশ্লেষকদের মতে, পরোক্ষে আমেরিকাকে হুমকি দিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট। দক্ষিণ চিন সাগর ও তাইওয়ান নিয়ে ওয়াশিংটন বাড়াবাড়ি করলে লড়াইয়ে যেতে প্রস্তুত চিন, সেই কথাই কূটনৈতিক ভাষায় বিশ্ব মঞ্চে জানিয়ে দিলেন জিনপিং। তবে চিনের দাদাগিরি যে ওয়াশিংটন কোনঅভাবেই মেনে নেবে না সেই কথাও স্পষ্ট। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সংঘাতের দিকে এগোচ্ছে দুই মহাশক্তি। কয়েকদিন আগেই ফের তাইওয়ান ‘দখল’ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। উদ্দেশ্য স্পষ্ট করে চীন-তাইওয়ানের ‘পুর্নমিলন’ নিয়ে খতা বলেছিলেন তিনি। এহেন পরিস্থিতিতে গতকাল তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন স্পষ্ট জানিয়েছেন যে চীনের থেকে বিপদ প্রতিদিন বাড়ছে। বেজিংয়ে ক্ষমতার রাশ শি জিনপিংয়ের হাতে আসার পর থেকেই আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে কমিউনিস্ট দেশটি। একাধিকবার জোর করে তাইওয়ান দখলের কথাও বলেছেন প্রেসিডেন্ট শি। তারপর থেকেই আরও সতর্ক হয়ে গিয়েছে দেশটি। লালফৌজের হামলা ঠেকাতে সামরিক বাহিনীকে অত্যাধুনিক হাতিয়ারে সাজিয়ে তুলছে তাইওয়ান। দ্বীপরাষ্ট্র হওয়ার সুবাদে সমুদ্রেই চীনকে রুখে দিতে এবার দেশেই অত্যাধুনিক সাবমেরিন বাহিনী তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।
আমেরিকাকে হুমকি দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং!
0
Share.