চুয়াডাঙ্গায় নিখোঁজের ২৬ দিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার

0

বাংলাদেশ থেকে চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গায় নিখোঁজের ২৬ দিন পর আবু হুরায়রা (১১) নামে এক স্কুলছাত্রের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ। রবিবার রাত আড়াইটার দিকে পৌর এলাকার তালতলা গোরস্থানের একটি কবর থেকে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। আবু হুরায়রা পৌর এলাকার তালতলা গ্রামের ভুট্টা ব্যবসায়ী ও কৃষক আব্দুল বারেকের ছেলে এবং চুয়াডাঙ্গা ভি. জে সরকারি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তৃৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। পুলিশ জানায়, স্কুলছাত্র আবু হুরায়রা নিখোঁজের ঘটনায় রবিবার সন্ধ্যায় তার প্রতিবেশী আব্দুল মোমিনসহ দুজনকে আটক করা হয়। আটকের পরতাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সুখেন্দু বসুর নেতৃত্বে রাত আড়াইটার দিকে এসআই মেফাউল ইসলাম ফোর্স নিয়ে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার তালতলা গোরস্থানে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় গোরস্থানের একটি কবর থেকে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় স্কুলছাত্র আবু হুরায়রার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে, ধারণা করা হয়, অপহরণের দিনই তাকে হত্যা করে গোরস্থানের একটি কবরে মাটিচাপা দেওয় হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহসীন জানান, ১৯ জানুয়ারি আবু হুরায়রার নিজ বাড়ি থেকে একই গ্রামের শিক্ষক রঞ্জুর কাছে বিকালে প্রাইভেট পড়তে যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের দিন স্কুলছাত্রের বাবা চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন। ২৬ জানুয়ারি আবু হুরায়রার বাবা বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় পুলিশ দুই জনকে গ্রেফতার করে। তিনি আরও জানান, শিশু আবু হুরায়রার মরদেহ উদ্ধারের পর রাতেই ময়না তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১৯ জানুয়ারি বেলা সাড়ে তিনটার দিকে নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে আবু হুরায়রা পার্শ্ববর্তী বাড়ির রঞ্জু হক নামের এক প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়তে যায়। ওই শিক্ষকের ঘরে বই-ব্যাগ রেখে সে বাইরে বের হয়। এরপর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয় যায়নি। এ ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর ২৫ জানুয়ারি আবু হুরায়রার পিতা আব্দুল বারেক বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। এ ঘটনায় পুলিশ তার প্রাইভেট শিক্ষক রঞ্জু ও তার ভাই মঞ্জুকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়।

 

Share.