ডেস্ক রিপোর্ট: পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে কুরআন অবমাননার অভিযোগে স্থানীয় মোহাম্মদ মোস্তাক নামে স্থানীয় এক মানসিক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় পাঞ্জাব প্রদেশের খানেওয়াল জেলার জঙ্গল ডেরা গ্রামে এক মানসিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মুসলমানদের পবিত্র ধর্র্মীয় গ্রন্থ কুরআন শরীফের কয়েকটি পৃষ্ঠা আগুনে পোড়ানোর অভিযোগ ওঠে। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পরে তিনি পুলিশি হেফাজতে ছিলেন। সেখান থেকে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে হত্যা করে ওই গ্রামের বাসিন্দারা। প্রাথমিকভাবে ঘটনায় সরাসরি সম্পৃক্ততার অভিযোগে ১৫ জনকে আটক করেছে স্থানীয় পুলিশ। এ ছাড়া, ঘটনায় পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার অভিযোগে আরো ৮০ জনকে আটক করা হয়েছে। আরো আসামিদেরকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তা মুনাওয়ার হোসেন জানান, কর্মকর্তারা গিয়ে ওই ব্যক্তিকে অচেতন অবস্থায় গাছে বাঁধা দেখতে পান। গ্রামবাসীরা লাঠিসোঁটা, কুড়াল ও লোহার রড দিয়ে তাকে পিটিয়ে মেরে লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখে। স্থানীয় পুলিশ স্টেশনের প্রধান মুনাওয়ার গুজ্জও বলেন,‘হতভাগ্য ওই ব্যক্তি গত ১৫ বছর ধরে মানসিক রোগে ভুগছিলেন।’ এ ধরনের ঘটনা বরদাশত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে পাকিস্তানের সরকার। ধর্ম অবমাননার অভিযোগে কাউকে হত্যা করা হলে দেশটির প্রচলিত আইনে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। তবে, দেশটিতে প্রায়ই এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে রবিবার প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। আর প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পক্ষ থেকে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। এক টুইট বার্তায় ইমরান জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডের শিকার ওই ব্যক্তিকে বাঁচাতে ব্যর্থতার জন্য স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের বিষয়েও প্রতিবেদন পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছেন।
পাকিস্তানে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে একজনকে পিটিয়ে হত্যা
0
Share.