বাংলাদেশ থেকে কক্সবাজার প্রতিনিধি: ‘তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকে’ এর কারণে ২১ ফ্রেব্রুয়ারি সোমবার সকাল থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সকল ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছিল উপজেলা প্রশাসন। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর কর্তৃক ঝড় সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি হয়। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর সমূহকে ৩ নম্বর (পুণ) ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত ছিল। উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে চলাচলকারি আটটি জাহাজ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সোমবার রাতে সতর্ক সংকেত উঠে যাওয়ায় মঙ্গলবার থেকে জাহাজ চলাচলে অনুমতি দেওয়া হয়। স্থানীয় সূত্র জানায়, গেল রবিবার সকালে টেকনাফের দমদমিয়া বিআইডব্লিটিএ নৌ বন্দর থেকে আটটি জাহাজে করে প্রায় পাঁচ হাজারের মতো পর্যটক সেন্ট মার্টিন দ্বীপে বেড়াতে যান। এর মধ্যে প্রায় দুই হাজারের মতো পর্যটক একইদিন বিকেলে আটটি জাহাজে করে ফেরত আসলেও রাতযাপনের জন্য সেন্টমার্টিনে রয়েছেন প্রায় তিন হাজার পর্যটক। তারা দ্বীপের বিভিন্ন হোটেল-কটেজে অবস্থান করছেন। সেন্টমার্টিনে চলাচলরত কেয়ারী ট্যুরস অ্যান্ড লিমিটেডের কক্সবাজার ইনচার্জ নুর মোহাম্মদ ছিদ্দিকী বলেন, সাগরে তিন নম্বর সংকেতের কারণে একদিন জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় মঙ্গলবার কেয়ারী সিন্দাবাদ ও কেয়ারী ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন ৭০০ পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিন গমন করেছে। এর আগের দিনে থেকে যাওয়া পর্যটকদেরও আজকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হবে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরী বলেন, আবহাওয়া সতর্কতা সংকেত কেটে যাওয়ায় সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। দ্বীপে আটকাপড়া পর্যটকরাও আজকে ফিরে আসবে।
সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল একদিন বন্ধ থাকার পর আবার শুরু
0
Share.