বিনোদন ডেস্ক: বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে আইনি লড়াই অব্যাহত চিত্রনায়ক জায়েদ খান ও চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারের মধ্যে। এ সংক্রান্ত মামলা হাইকোর্টে বিচারাধীন। আগামী সোমবার তার রুল শুনানি। তার আগে নিপুণের বিরুদ্ধে নতুন পদক্ষেপ নিলেন জায়েদ খান। নালিশ করলেন আপিল বিভাগে। গত ৯ ফেব্রুয়ারি শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদের ওপর স্থিতিবস্থা দিয়ে রেখেছেন চেম্বার আদালত। অর্থাৎ, রুল শুনানি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই পদে কেউ বসতে পারবেন না। নিপুণ চেম্বার আদালতের সেই আদেশ অমান্য করে সমিতির চেয়ারে বসছেন এবং দায়িত্ব পালন করছেন বলে অভিযোগ। তারই জেরে এই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় বৃহস্পতিবার আবেদন করেছেন জায়েদ খান। গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অভিনেতার আইনজীবী আহসানুল করিম। তিনি বলেন, ‘চেম্বার আদালত স্থিতাবস্থা দেওয়ার পর যখন নিপুণ সে আদেশ অমান্য করছিলেন, তখন তাকে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। তাতে তিনি সতর্ক হননি। বরং অব্যাহতভাবে আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করে চলেছেন। সে কারণে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।’ আহসানুল করিম জানান, জায়েদ খানের করা আবেদনটি রবিবার আপিল বিভাগে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে উপস্থাপন করা হতে পারে। যদিও এ ব্যাপারে নিপুণ আক্তার এখনো মুখ খোলেননি। নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী ঘোষণা করে শিল্পী সমিতির নির্বাচনের জন্য গঠিত আপিল বোর্ড। পর দিন বিকালে ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণসহ তাদের পরিষদের ১০ জন শপথও নেন। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গত ৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে আবেদন করেন জায়েদ খান। ওই দিনই আদালত তার বিরুদ্ধে নেওয়া সিদ্ধান্ত বাতিল করে সপদে বহাল থাকার আদেশ দেন। পাশাপাশি তার প্রার্থিতা বাতিল কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে গত ৮ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করেন নিপুণ আক্তার। পরদিন শুনানি শেষে চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে সাধারণ সম্পাদক পদের ওপর স্থিতিবস্থা জারি করেন। এছাড়া এই পদে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না- এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্ট বেঞ্চকে আদেশ দেন চেম্বার আদালত। তারপর থেকে নিয়ে গত ১৪, ১৫, ২২ এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি- মোট চার দফায় ধার্য হয়েছে সেই রুল শুনানির তারিখ। কিন্তু চার বারই পিছিয়ে গেছে। নতুন দিন ধার্য হয়েছে ২৮ ফেব্রুয়ারি, সোমবার দুপুর ২টা। সেদিন কী হয় এখন সেটাই দেখার।